Culture

অপমানিত প্রবীণ নাট্যকার মনোজ মিত্র :ইস্তফা দিলেন নাট্য অ্যাকাডেমির প্রধান পদ থেকে !

২০০৮ -২০১১ বাং সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিলেন এই প্রবীণ নাট্যকার , বিদ্যজনেদের তালিকায় প্রথম দিকে থাকা নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক অনুষ্ঠানে প্রথম ডাকে দেখা গেলেও ২০১৬ পর দ্বিতীয় ইনিগসে আর দেখা যায় নি। ক্ষুব্ধ অপমানিত মনোজ মিত্র।

নিজস্ব প্রতিনিধি : মনোজ মিত্র বিশিষ্ট নাট্য ও চলচিত্র ব্যক্তিত্ব রাজ্য নাট্য অ্যাকাডেমির প্রধান তথা চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন । মনোজ বাবু তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন মঙ্গলবার ‘ ই-মেল করে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের প্রধান সচিবকে ‘ । মনোজবাবুর বলেন , ওনার শরীর ভালো নয় গত এক বছর ধরে । “আক্ষেপের শুরে বলেন আমি আর পদে থেকে কি বা করছি , ওই পদের দায়িত্বে থাকা সমীচীন মনে করছেন না। তাই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন সরকারের কাছে।”

মনোজ বাবুর আক্ষেপ তার অজান্তে কেন সম্প্রতি অ্যাকাডেমির সদস্যপদ থেকে ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়, অরুণ মুখোপাধ্যায় ও হরিমাধব মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হল । আর এই নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে নাট্য জগতের । নাট্য জগতের দাবি , কোন কারণ ছাড়া কি ভাবে ,তিনজন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্বকে তাঁর অগোচরে সরকার যেভাবে সরিয়ে দিয়েছে, তাতে নিজের মর্যাদাহানি হয়েছে বলে মনে করছেন মনোজবাবু।সরকারের অধিকারিকরাই যদি একাডেমি চালায় তাহলে আর নাট্য বেক্তিদের কি দরকার। আরো অভিযোগ যে এই একাডেমির যখন একজন সভাপতি আছে তাকে না জানিয়ে কোন মেম্বারকে সরানো তাই বেআইনি বলে মন্তব্য করেন নাট্য মহল।

এর ফলে সরকার তার মর্জিমাফিক কাজ করছে অনেক দিন ধরেই। যে পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য নাট্য একাডেমি কে সাজিয়ে তুলে ছিলেন তার কোন অংশেরই কাজ হয় নি বলে মনে করেন নাট্য জগতের এক বড় অংশও , তাই মনোজ বাবু নিজেই আর এই পদে থাকতে চাননি। আর এই নাট্য একাডেমি ঠিক অনিয়মিত ভাবে বসতো। কারণ সরকারি হস্তক্ষেপ এতটাই বেড়ে ছিল যে বছরের শেষে বাৎসরিক সভা টাও ওদের ইচ্ছে মত হত। জেলায় জেলায় নাটকের কর্মশালা থেকে নাট্য উৎসব সব কিছুতেই লাল ফিতের ফাঁস বলে মনে করেন নবীন প্রবীণ সব প্রজন্ম। নাট্য জগতের কাজ কর্ম মূলত রাজনৈতিক কর্মীদেরই দ্বারা পরিচালিত বা রাজনৈতিক দখল দাড়িতেই আবদ্ধ ছিল বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।

নাট্যকার মনোজ মিত্রের পদত্যাগ নিয়ে সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের দুই বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেস। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র একসুরে শুক্রবার বলেন, মনোজ মিত্র, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট কলাকুশলীরা বিভিন্ন সরকারি সাংস্কৃতিক কমিটি থেকে যেভাবে পদত্যাগ করছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে তাঁরা তাঁদের যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না।তৃণমূল শিবিরে এই নিয়ে কোন হেলদোল নেই। পদত্যাগের খবর সামনে আসতেই আমরা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ববি হাকিম সহ একাধিক নেতৃত্ব কে জিজ্ঞাসা করলে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: