আকাশ ছোঁয়া পেয়াঁজের দাম থেকে রক্ষা পেতে, এবারে আমদানি হবে চিন থেকেই।
হেঁশেল সামলাতে হিমশিম সাধারণ মানুষ, রেহাই দিতে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের।
@ দেবশ্রী : ভারতে পেয়াঁজের দাম অগ্নিতুল্য। পেয়াঁজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র একই অবস্থা পেঁয়াজের দামের। এহেন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই। তেমন কোনো উপায়ও খুঁজে পাচ্ছেন না সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত সির্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, চিন থেকেই পেয়াঁজ আমদানি করা হবে।
নতুন বছরে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করে দেশবাসীকে একটু রেহাই দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণে চিন থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১১,০০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাইরে থেকে আমদানির বরাদ দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে ৪০০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে চিন থেকে এবং ৭০০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তুরষ্ক থেকে। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ভারতে পৌঁছবে এই পেঁয়াজ। তাতে কিছুটা হলেও ভারতে পেঁয়াজ এর সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
তবে কেবলমাত্র পেঁয়াজ নয় অন্যান্য সবজির দামও বাজারে চড়তে শুরু করেছে। মধ্য বিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে খাদ্য সামগ্রীর বাজার। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে বিদেশ থেকে সবজিও আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নেদারল্যান্ড, মিশর, ইরান, তুরষ্ক, রাশিয়া থেকে আসছে সবজি। নভেম্বরেই সেই সবজি আমদানির বরাত দেওয়া হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে নতুন বছরেই বাজারে চলে আসবে পর্যাপ্ত সবজি।
এবছর মহারাষ্ট্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পেঁয়াজের ফলনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেকারণে বর্ষা শেষ হতেই বাজারে নতুন পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা যায়। যার জেরেই দাম ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজিতে পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণ ভারতে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। উত্সবের মরশুমে পেঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধিতে সংকটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আর সঙ্কট মোচনের জন্যই কেন্দ্র সরকারের এই সির্ধান্ত।