খুন বিজেপি বিধায়ক, খুনের দায় তৃণমূলের উপর চাপালেন দিলীপ ঘোষ
'খুনের রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল' বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের
দেবশ্রী কয়াল : দেশ এখন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা যে ত্রাস সৃষ্টি করেছে, তাতে মানুষের মনে ভয়ের বাঁসা বেঁধে আছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও অপরাধমূলক কাজে কিন্তু কোনো বিরতি দেখা যাচ্ছে না উল্টে বাড়ছে অপরাধমূলক কাজ। খুন হয় বিজেপি বিধায়ক। এদিন হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে। পরিবারের তরফে অভিযোগ উঠেছে, খুন করা হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই বিধায়কের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা সেই নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেই মিলছে খবর।
এদিন বিধায়কের পরিবারের দাবি গতকাল রাত একটা নাগাদ বান্দোলের বাড়ি থেকে তাকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যান। সবাই বাইকে করে এসেছিলেন। তারপর সোমবার ভোরের দিকে হেমতাবাদ থানার বালিয়া মোড় এলাকায় বন্ধ দোকানের বারান্দায় মেলে বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ। স্থানীয়রাই প্রথমে দেখতে পান, তাঁর দেহ। তাঁর পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। বিধায়কের স্ত্রী চাদিমা রায় অভিযোগ করেছেন, খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখনও মৃত্যুর কারন কারোর কাছে স্পষ্ট নয়। তবে দলীয় বিধায়কের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারন হিসাবে তৃণমূলকেই দায়ী করলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ককে খুনের পর তাঁর মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি সভাপতির। আর এই বিষয়ে, রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এভাবে কাউকে আত্মহত্যা করতে দেখেছে কী কেউ। খুবই পরিষ্কার বিষয় যে খুন করা হয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়কে। ওখানকার এক তৃণমূল নেতাই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। ২০২১-এর ভোটের আগে নিজের পথের কাঁটা সরাতেই এই ভাবে রাতের অন্ধকারে খুন করা হয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়কে।’
দিলীপ ঘোষ অভিযোগ হেনে এদিন তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে জিততে না পেরেই এখন খুনের রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল’। তবে আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। কিন্তু রাজ্য পুলিশকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করলে চলবে না। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে এর তদন্ত করাতে হবে।’