আদালতে সুরক্ষিত নন, স্বয়ং বিচারপতি !
মানুষ আদালতে যায়, সুবিচারের আশায়, কিন্তু এখানে বিচারের রায় পক্ষে না আসায় পেটানোর হুমকি দেওয়া হয় বিচারপতিকেই।
@ দেবশ্রী : নিরাপত্তায় নেই কেউই.. এমনকি বিচারপতির জীবনও রয়েছে বিপন্নে। যারা মানুষকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে, এখন তারাই স্বয়ং বিচারপতিকে হুমকি দিচ্ছে গায়ে হাত তোলার জন্য। আসামিকে জামিন দিতে রাজি না হওয়াতে ১২ জন আইনজীবীরা মাইল মহিলা বিচারপতিকে পেটানোর হুমকি দেয়। অভিযোগ ওঠে, এজলাস ছেড়ে আদালতে তাঁর নিজের চেম্বারে ঢোকার পর ১২ জন আইনজীবী ওই বিচারপতির ঘরে ঢুকে তাঁকে পেটানোর হুমকি দেন। ওই ১২ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সচিব।
ঘটনাটি ঘটে কেরলের হাইকোর্টে। এফআইআরে জানানো হয়েছে, ওই দিন এজলাসে এক সরকারি বাসচালকের জামিনের আর্জি নামঞ্জুর হওয়ার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কয়েকজন আইনজীবী। কিছু ক্ষণ পর তিরুঅনন্তপুরমের জুডিশিয়াল ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট দীপা মোহন যখন আদালতে তাঁর চেম্বারে গিয়ে ঢোকেন, তখনই তাঁর ঘরে চড়াও হন ১২ জন আইনজীবী। তাঁরা বিচারপতির ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। তার পরেই শুরু হয় তাঁদের গায়ে হাত তোলা এবং আরও অনেক রকমের হুমকি।
আইনজীবীরা বিচারপতি দীপা মোহনকে হুমকি দেন, ”আপনি যদি মহিলা না হতেন, তা হলে আপনাকে ঘর থেকে টেনে বের করে পেটাতাম। এফআইআরে বিচারপতি মোহন লেখেন, ”আমাকে বলা হয়, আপনি কী ভাবে ঘর থেকে বেরতে পারেন, দেখে নেব। অভিযুক্ত আইনজীবীরা আদালতের অন্যদেরও বেরিয়ে যেতে বলেন। এখানেই শেষ নয়, এরপর তারা বলেন, আজ থেকে আদালতে কোনও কাজকর্মই হতে দেব না, যতক্ষণ না আসামিকে জামিন দেওয়া হবে।