তানিয়া চক্রবর্তী : শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমছে। ওজন বাড়ছে। ক্রমশ জবাব দিচ্ছে ওয়েট মেশিন। সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে। এই সব সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞগণ। তাঁদের মতে, চিন্তা বাদ দিয়ে ঘুমই বলে দেবে ওজন কমানোর রাস্তা। অবাক হলেও এটাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, রাতের ঘুমেই লুকিয়ে রয়েছে ওজন কমানোর চাবিকাঠি। তাই চিন্তাতে ঘুম না উড়িয়ে চিন্তামুক্ত হয়ে ঘুমোন। তবেই ওজন কমতে শুরু করবে।
গবেষকদের মতে, ঘুমের মধ্যে বেশ কিছু কার্যকলাপ যেমন, সেল রিপেয়ার ও গ্রোথ বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। সেভাবেই আপনার শরীরও ঘুমের মধ্যে বেশ কিছুটা ক্যালোরি বার্ণ করতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। ঘর একদম অন্ধকার করে ঘুমোন। এতে মস্তিষ্ক রিল্যাক্স করার অবকাশ পায়। মানুষের শরীর মেলাটোনিন নামে এক হরমোন উৎপাদন করে, যা মানুষের ঘুমের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। এই হরমোনের প্রভাবেই আমাদের ঘুম পায় এবং ঘুমের গভীরতাও এই হরমোনই নির্নয় করে এই হরমোন মূলত উৎপাদিত হয় রাত ১১টা থেকে ভোর ৩টে পর্যন্ত। ফলে এই সময়টাই ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে শারীরিক ক্লান্তি কাটে না। মানসিক ক্লান্তিও চেপে ধরে। খিদে বেশি পায়, যাতে ওজন বাড়াটা অবশ্যম্ভাবী। সেই কারণেই তাঁরা ঘুমের সঙ্গে ওজন কমার যোগসূত্র তুলে ধরেছেন। অনেক সমীক্ষা জানাচ্ছে ঠিকঠাক ঘুম না হলে শরীরের কোষগুলি কার্যক্ষমতা হারায় ও ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতেই জন্ম নেয় ওবেসিটি।