আবারও কান্তি গাঙ্গুলি আম্ফানের মুখোমুখি : বিধায়ক দেবশ্রী কই ?
মানুষের বিপদে আগেও পাশে ছিলেন এখনও পাশে কমরেড কান্তি

@ দেবশ্রী : রুষ্ট হয়েছে প্রকৃতি। ধেয়ে এসেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এই সময়ে সঙ্কটে রয়েছেন বহু মানুষ। সর্বস্ব হারানোর রয়েছে ভয়। তবে এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতে এগিয়ে এল চেনা বন্ধু। তাই আয়লা, ফণী, বুলবুল- যে যখনই রায়দিঘির উপর তান্ডব করেছে, তখনই বুক দিয়ে তিনি রায়দিঘির মানুষদের আগলেছেন। সেই বিগত বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এবারেও প্রস্তুত আমফান মোকাবিলায়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আয়লার থেকেও এই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হবে। উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল প্রতাপ দেখাতে পারে আমফান। বঙ্গোপসাগরের সুপার সাইক্লোনের খবর পেয়েই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন কান্তিবাবু। তাঁর কথায়,’ যত বড়ই দুর্যোগ আসুক না কেন আমি তৈরি আছি। রায়দিঘিতে আমার স্ত্রীর একটা স্কুল আছে। সেখানে সবার থাকায় ব্যবস্থা করেছি। দু হাজার ত্রিপল, একটা নৌকা, ১০০ কুইন্টাল চাল, তিন লক্ষ টাকার ওষুধের বন্দোবস্ত করেছি। এখানে যাঁদের মাটির ঘর আছে, তাদের সবাইকে ওই স্কুলে নিয়ে গেছি।’
কয়েকমাস আগেও বুলবুল-এর সময় রাতে ঝড়-জল মাথায় করে, ধুতির কুঁচি হাঁটুর উপর তুলে টর্চ হাতে হাতে রায়দিঘির গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের ত্রাণ ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন কান্তিবাবু। সবাইকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই স্কুলে রেখেছিলেন। সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এ নতুন কিছু নয়। বাম আমলে সুন্দরবন মন্ত্রী হিসেবে ২০০৯ সালে আয়লার সময়েও গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উদ্ধার, ত্রাণের কাজ করেছিলেন। সেই কথা এখনও এলাকাবাসীর মুখে মুখে ঘোরে।
তাই এবারও, আমফান আসার আগেই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, কমরেডদের নিয়ে সুন্দরবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন ২ হাজার ত্রিপল, একটি নৌকা, ১০০ কুইন্টাল চাল। এবং ৩ লক্ষ টাকার ঔষধের করেছেন বন্দোবস্ত।