@ দেবশ্রী : এক ইতিহাস গড়ল ভারতীয় ক্রিকেট দল। গতকাল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় তথা নির্ণায়ক ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতে নিল বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া। এই তৃতীয় ম্যাচ এবং সিরিজ জেতার জন্য ভারতের লক্ষ্য ছিল ৩১৬ রান। আর টান টান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে কাটে ম্যাচ। নাটকীয় ভাবে ৮ বল বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নেয় ভারত। এই নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১০টি ওয়ান ডে ইনিংস জিতল ভারতীয় ক্রিকেট টিম।কটকের এই মাঠে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে এটাই সর্বাধিক রান তাড়া করে জয় ভারতের।
একটি বিশাল রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামে ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। তাদের হাফ-সেঞ্চুরির দৌলতে প্রথম উইকেটে ভারত তোলে ১২২ রান। ৬৩ বলে ৬৩ করে জেসন হোল্ডারের বলে ক্যারিবিয়ান কিপারের কাছে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফায়ার যান রোহিত। ২৯.৫ ওভারে ৭৭ রান করে আউট হয়ে যান লোকেশ রাহুলও। তখন ভারতের দলগত রান ১৬৭। এর পর ৭ রানে শ্রেয়াস আইয়ার, ৭ রানে ঋষভ পন্থ আর ৯ রানে কেদার যাদব আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অন্যপ্রান্তে তখন শক্ত হাতে ম্যাচের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু ৮১ বলে ৮৫ রানে কিমো পলের বলে বোল্ড হন তিনি। এর পর রবীন্দ্র জাডেজা (৩১ বলে ৩৯ রান) এবং শার্দুল ঠাকুর (৬ বলে ১৭ রান) ৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতিয়ে দেন।
সিরিজের তৃতীয় তথা নির্ণায়ক ম্যাচে কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে টস জিতে পোলার্ডের দলকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এই ম্যাচে অভিষেক হয় ভারতের তরুণ পেসার নভদীপ সাইনির। প্রথম ম্যাচেই বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিলেন সাইনি। সাইনি কেরিয়ারের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ৫৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন।
প্রথম ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ৯৪ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩০ ওভারে ৩ উইকেটে ক্যারিবিয়ান স্কোরবোর্ডে উঠেছিল ১৩৭ রান। ভারতীয় বোলাররা শুরুতে ক্যারিবিয়ানদের চাপে রাখলেও খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায়নি তাঁদের। সেখান থেকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নিকোলাস পুরানের ৬৪ বলে ৮৯ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস আর অধিনায়ক কায়রন পোলার্ডের ৫১ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের দৌলতে ক্যারিবিয়ানরা ৫ উইকেটে ৩১৫ রান তোলে।
অসম্ভব না হলেও কোহলিদের জন্য কাজটা বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির হাফ-সেঞ্চুরির দৌলতে রান তাড়া করার কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় ভারতের। এবং শেষে শার্দুল ঠাকুরের ছয় আর চার এর বর্ষণ খেলার মাঠে। সব মিলিয়ে চলে টানটান উত্তেজনা। আর শেষে ভারতের জয়।