এই প্রথম পাল্টা চাপে ফেলে দিলেন ফেলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে : জুনিয়র ডাক্তাররা
যাঁতা কলে ফেঁসে গেলেন মমতা , দুর্ভোগের শিমা নেই রোগীদের
৫ ঘণ্টার ধরে চলেছে জেনারেল বডির মিটিং এর পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রাজী তাঁরা। তবে নবান্ন বা রাজভবনের বন্ধঘরে নয়। প্রকাশ্যে ক্যামেরার সামনে হোক রফাসূত্রের আলোচনা এমনটাই চাইছেন NRS-এর আন্দোলনকারীরা। কবে, কোথায় আলোচনা হবে সেই বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মিটিং এর পর একটি প্রেস বিবৃতিতে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল দৃঢ়তার সাথেই তাঁরা বলেন “আলোচনা হোক, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ শেষ হোক।
জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন ” শর্ত একটাই বন্ধ দরজার ভিতরে বৈঠক হবে না। মাননীয়া কোথায়, কখন বসবেন সেটা ওনার ওপরই ছাড়লাম। মুখ্যমন্ত্রী জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নিন এবার “। আরো বলেন এই আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকতে হবে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের পর্যাপ্ত প্রতিনিধি দল। থাকবে সংবাদ মাধ্যমও। তাঁরা এও উল্লেখ করেছেন, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস বিবৃতি ছিল বিভ্রান্তিমূলক। মুখোমুখি বসে তাঁদের সমস্ত দাবি মানতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীর কোটেই বল ঠেলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা কিছুটা এগিয়ে রইলো ।
আজকের জেনারেল বডির মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল, সিনিয়র ডাক্তার, রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা-সহ কর্মচারী , নার্সদের প্রতিনিধি । তবে মুখোমুখি আলোচনার জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে ? এদিকে একেপর এক শর্ত চাপাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কার্যত ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। এখন আগামী কাল ১২ টায় ফের কী বলবেন মুখ্যমন্ত্রী? কী সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি? ফের প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রফাসূত্র। দীর্ঘ বৈঠক থেকে যা নির্যাস বেরলো তাতে স্পষ্ট, আপাতত উঠছে না কর্মবিরতি।
রাজনৈতিক মহল বলছেন হতে পারে এস্মা চালু , কারণ এতো কিছু দাবী মেনে নেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগের দিন যে ভাবে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এবং তার দু দিন আগে এসএসকেএমে যে হুমকি দিয়েছিলেন তাতে এই শর্ত মেনে নেবেন না। আর যদি মেনে নেন তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে বড় ধাক্কা আসবে। উনি আগেই এই সমস্যা মেটাতে পারতেন যদি অবস্থান কর্মসূচির কথা শুনে নিজে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে কথা বলতেন , তাহলেই মিটে যেত। সাস্থ প্রতি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ও IMA সর্বভারতীয় সভাপতিও পারলেন না মমতার ম্যান বাঁচাতে।

সুজন চক্রবর্তী অভিনন্দন জানিয়ে সমর্থন করেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের সিদ্ধান্তে ও সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন । নজর রেখেছিলেন আন্দোলনের ওপর, এর আগে রাজ্য পালের কাছে গিয়ে আন্দোলনকারীদের কথা বলেছিলেন। বিজেপির দিলীপ ঘোষ বলেছেন কাজ করো আন্দোলন করো , অধীর চৌধুরী বলেছেন জুনিয়র ডাক্তার দের হুমকি দেওয়া তা ঠিক নয় ওরা যে ভীষণ কৃতি সন্তান এই বাংলার।