একটু হলেও নিস্তার গরম থেকে , তবে বিরক্ত রাস্তা ঘাট নিয়ে , সুস্থ থাকতে কিন্তু খাবেন কি ?
জ্বালাতনের শেষ নেই গরমে থাকতে পারিনা আর অতি বর্ষায় অতিষ্ঠ। কি খাবো আর কি খাবোনা সেই অনেক ফিরিস্তি। তবু ভালো থাকতে হবে !
রোগের জীবাণু জন্ম নেয় বর্ষাকালে।তারফলেই রোগের আবির্ভাব হয় বর্ষাতেই । বাড়ীর ছাদ কিংবা রাস্তাঘাটে, নদী-নালায়, পুকুর ও ডোবায় জল জমে থাকে। এর ফলেই জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়া, ডেঙ্গু বিভিন্ন রকম রোগে আক্রান্ত হতে হয়। ফল ও সবজি বেশি করে খান এবং জল খাবেন তার সাথে পাল্লা দিয়ে , তা হলে বিভিন্ন রকম রোগের হাত থেকেও নিস্তার পাওয়া যাবে।তা হলে জেনে নেওয়া যাক বর্ষাতে কোন কোন সবজি ও ফল খাবেন-
সবজির মধ্যে : ১। পটল:
নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে এখন সারা বছর ধরেই এখন পটল পাওয়া যায়।এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।পটল খাওয়া বর্ষাকালে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পটলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট থাকে।সেই কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। পটল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
২) লাউ:
লাউ এ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে।লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। বর্ষাকালে লাউ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। লাউ আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখে এবং পেট খারাপ বা ডায়েরিয়া হলে তা কমাতে সাহায্য করে।এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি থাকে।
৩। করলা / উচ্ছে :
শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তেঁতো হওয়ার জন্য করলা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে হলে করলা খাওয়া খুবই দরকার। এর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে।
৪। কাঁকরোল :
সম্প্রতি অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে।কাঁকরোলের মধ্যে প্রোটিন, আয়রন, ফাইবার থাকে। কারণ হজমের সমস্যা, পেট খারাপ, জ্বর ইত্যাদির হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে কাঁকরোল খাওয়া খুবই প্রয়োজন। তাই বর্ষাকালের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে কাঁকরোল।
ফল :
১। আপেল
বর্ষাকালে প্রতিদিন একটি করে ফল খাওয়া খুবই ভালো। তার মধ্যে আপেল খুবই উপকারী। তাই নিয়ম করে খাবারের তালিকায় ১টি করে আপেল খান।এতে অনেক রকম রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২। বেদানা :
এই ফলের মধ্যে বেদানার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এ ছাড়া মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে তোলে। এবং হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৩। ন্যাসপাতি :
জন্ডিসের ক্ষেত্রে শুধু নয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে আমাদের শরীরও ঠান্ডা রাখে। এ ছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস, ফাইবার থাকে।
৪। পাকা পেঁপে :
পেঁপের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। জ্বর, সর্দি, কাশি সব কিছু থেকেই মুক্তিতে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার।