একদিকে সরকারি কর্মচারীদের জন্যে আনন্দের খবর, অন্যদিকে রাজ্য সরকারের মাথায় হাত !
প্রথমে ঋণ শোধ আর তার উপরে বাড়তি খরচ এসে পড়ল অর্থ দফতর কেন্দ্রে।
@ দেবশ্রী : বছর শেষে একদিকে যেমন মিলল সুখবর, তেমনি সরকারের মাথায় চাপল নতুন চিন্তা। নতুন বছরের শুরু থেকেই বাড়তে চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন। শুধুমাত্র তা নয়, এর সাথে সাথে বাড়তে চলেছে, স্কুল কলেজের শিক্ষক, পুর ও পঞ্চায়েতের কর্মী এবং সরকার অধীনস্থ সংস্থাগুলির কর্মীদের বেতন। অর্থ দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে বেতন এবং পেনশন খাতে অতিরিক্ত একহাজার কোটি টাকা খর্ব করা হবে।
বর্তমানে প্রতিমাসে রাজ্য সরকারের বেতন ও পেনশন খাতে খরচ হয় ৫২০০ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে তা ছয় হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে। বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নেওয়ায় বছরে সাড়ে দশ হাজার কোটির বাড়তি বোঝা সামনের বছর থেকে চাপতে চলেছে রাজ্য সরকারের ঘাড়ে। অর্থ দফতরের অনুমান, খরচের পরিমান যা অনুমান করা হচ্ছে, তার থেকেও বেড়ে যেতে পারে। সূত্রের মাধ্যমে জানা যাও, দফতরের কর্মীরা, তারা বছরে ১২ কোটির ধাক্কা ধরে নিয়েই এগোচ্ছে। কিন্তু এই বেড়ে যাওয়া ধাক্কাটাই সরকারের কাছে এই মুহূর্তে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অর্থদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে ৫৬ হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাবে সরকারে ঋণ পরিষোধ করতে। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকার বোঝা। জানা যায়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কঠোর করা হচ্ছে আর্থিক শৃঙ্খলা। এবং বিভিন্ন দফতরকে বলা হয়েছে, খরচ না হওয়া অর্থ তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিতে। সেই অর্থ দিয়ে কোনোরকম সুবিধা হবে বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। চেষ্টা চলছে আর্থিক যোগান্তি বাড়ানোর।