এতটা আর্থিক মন্দা নয় অন্য দেশে , যা ভারতে হয়েছে : আইএমএফ প্রধান
আর্থিক মন্দা ইউরোপ-আমেরিকাতে হলেও সামলে নিয়েছে সে দেশের রাজনীতি , বেকারত্ব প্রকট হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির থেকে ভারতে অনেক বেশি কর্মহীনের সংখ্যা । আগামীতে আরো ফল খারাপ হবে।
আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দ হলেও সর্তাদের খরচ সঙ্কজ করেছে , জনমুখী প্রচার অনেকাংশেই বন্ধ হয়েছে। তার ফলে মন্দার বাজারে ঘুরে দাঁড়াবার প্রতিযোগিতায় অনেকটাই মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। মন্দার প্রভাবে ভুগছে বিশ্বের বহু দেশ। এই মন্দা আরও বাড়তে পারে। তবে বিশ্বজুড়ে মন্দার প্রভাব সবচেয়ে বেশি ভারতে।
একটি সমীক্ষা কে কেন্দ্র করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ” অর্থনীতিতে মন্দার একটা আশঙ্কা করা গিয়েছিল ২০১৯ । সমগ্র পৃথিবীতে ৯০ শতাংশ জায়গায় মন্দা চলবে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের মতে আগামী বছরে এই মন্দা আরও বাড়তে পারে।”
ভারতে আর্থিক মন্দার প্রভাব নিয়ে যখন সমগ্র দেশে সমালোচিত , রাজনীতির ক্ষেত্রে অনেকটাই কোনঠাসা বিজেপি , সেই সময় ভারত সরকারের আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছে ভারত এই আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
এর বিপক্ষে অনেক গুলো কথা উঠে আসছে , রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমান অর্থ সরকারের তুলে নেওয়া , যেমন ব্যাঙ্ক সংযুক্ত করুন , ট্যাক্সের পরিমান বৃদ্ধি , NPA বেড়ে যাওয়া , ব্যাংকার সুদ কমে যাওয়া , ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার কমে যাওয়া , বাজারে খুচরা বাজারে চূড়ান্ত মন্দ , মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়া , উৎপাদন ও চাহিদার ভাসাম্য হীনতা, কর্মদিবস কমে যাওয়া , বৃহৎ শিল্পের ছাঁটাই , সরকার সন্থাৰ বেসরকারি করুন , নতুন কাজের সন্ধান নেই।উৎপাদন শিল্প নতুন করে হয় নি বললেই চলে শেষের ৭ বছরে ফলে সব মিলিয়ে বলা যায় যে ভালো নেই ভারতের আর্থিক অবস্থা।
শক্তিধর দেশ জাপানও বেকারত্ব বাড়ছে হুহু করে। আগাম বার্তা দিয়েছেন জর্জিয়েভা ফলে ভারতের মতো উন্নয়ণশীল দেশে তার প্রভাব যে পড়বে।মন্দার ধাক্কায় যে ইউরোপ-আমেরিকাও কাহিল তার একভারে স্পষ্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে বেকারত্বের হার রেকর্ড ছুঁয়েছে।
এর ফলে ভারতের মত বৃহৎ বাজারে ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চীন সহ অন্যান্য দেশ। কারণ চীনের উৎপাদনের অনেকাংশেই নির্ভর করার জায়গা ভারতের বিপুল মার্কেট। ফলে পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে চিনেও।