এতদিনে স্বীকার করলেন পুলিশ দিয়ে সরকার চালিয়েছেন মমতা
বাস্তবে দলটা চালাতে গেলে রাজনীতির লোক দরকার , পুলিশ লাগে সরকার চালাতে। বুঝতে বড় দেরি তাই, pk পরামর্শে দলীয় কর্মীদের গুরুত্ব বাড়লো।
অভিযোগ উঠেছিল ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও নাকি অভিষেক ব্যানার্জির হয়ে লোক কে ভয় দেখিযে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছে। এই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়েছিল।তার ভিত্তিতে ওই এসডিপিও কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু ২৩ শে মে রেজাল্ট বেড়াবার পর আবারো ফেরানো হয় ওই অফিসার কে। এই রকম ঘটনা বহু জেলাতেই ঘটেছিলো।
আজ মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের বললেন পুলিসকে ছাড়াই দল চালান, সব কিছু ওদের জানানোর দরকার নেই, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জেলা কমিটিগুলিকে গড়তে হবে সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতিকে। কমিটিতে সব পক্ষের প্রতিনিধি রাখতে হবে। রাখতে হবে সব বয়সের প্রতিনিধিত্ব।’
আজ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ বর্ধমান জেলার তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন । তিনি বলেন, ‘পুলিস নির্ভর হবেন না। সব কিছু পুলিসকে জানানোর দরকার নেই। আগে যখন পুলিস আমাদের সঙ্গে ছিল না তেমন ভাবে কাজ করুন।’বৈঠকে সবাইকে ফের একজোট হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। জেলা কমিটিতে বিধায়কদের রাখা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দেন তিনি। সঙ্গে প্রাধান্য দিতে বলেন মহিলা ও অনগ্রসর শ্রেণিকে।
তিন টি বিষয় মূল বিষয় এক্ষেতের : সরকারি আধিকারিকদের দখল দাড়ি বাড়ায় দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে দলের নেতা কর্মী সহ অনেক আধিকারিক।
বর্ধমানেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নেমেছে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে গোটা রাজ্যের মতো ।বিজেপি আসানসোল ছাড়াও বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নিয়েছে তারা ২ বর্ধমান জেলার ৩ আসনের মধ্যে ২টিতে জিতেছে । দলের সংগঠন ধরে রাখতে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা বোঝাতে এদিন বিধায়কদের সঙ্গে মমতা বৈঠক করেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।