পড়ুয়াদের পর্বত সমান অসমাপ্ত সিলেবাসের চাপ, মিলছেনা চূড়ান্ত ঘোষণা
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল সেমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনেই হোক, মত উপাচার্যদের
পল্লবী কুন্ডু : করোনার ভয়াল গ্রাসের থাবায় ওষ্ঠাগত মানবসম্প্রদায়। তবে ধীরে ধীরে সাধারণ জনজীবনের পথে হাঁটার চেষ্টায় গোটা দেশ। কিন্তু এখনো কোনো সদুপায় মেলেনি শিক্ষা ক্ষেত্রে। অন্ধকারের গহ্ববরে শিক্ষামহল। ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষতি হয়েছে পঠন পাঠনে। পড়ুয়াদের মাথায় পর্বত সমান অসমাপ্ত সিলেবাস। তাহলে চলুন জানা যাক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নয়া কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো সরকার। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল সেমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনেই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এমনই প্রস্তাব দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা।
তবে যা মতামতই গৃহীত হোক না কেন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে, তা অনুমোদনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলির স্বাধিকার রয়েছে। যা আলোচনা হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব যাওয়ার পরেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া হবে।’
এর আগে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা হলো, রাজ্যের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অন্তত এক মাস পরে চূড়ান্ত সেমিস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এদিন শনিবার উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে সল্টলেকে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। ওই বৈঠকে সব উপাচার্য ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা হওয়ার পক্ষে মত দেন।
কিন্তু এই মত শুনে একাধিক পড়ুয়ার মনে এই প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, যাদের বাড়িতে এরকম সুযোগ সুবিধা নেই সে ক্ষেত্রে তারা কি করবে ? উত্তর হিসেবে জানা গেছে, সে ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে প্রথাগত প্রশ্নোত্তরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যাবে না।জানা গিয়েছে, বিকল্প হিসাবে হোম অ্যাসাইনমেন্ট বা প্রজেক্ট করানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাসাইনমেন্ট বা প্রজেক্ট পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের বিভাগে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জমা দিয়ে যেতে হবে। সবে মিলিয়ে এখনো অন্ধকার কাটেনি, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কতৃপক্ষ। এর ফলে বিরাট চাপের মুখে পড়ুয়া মহল, একটা চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষাতেই দিন গুনছে তারা।