এবার থেকে পরীক্ষায় বসতে হলে, থাকতে হবে ৭৫% উপস্থিতি, জানাল সিবিএসই বোর্ড।
ক্লাসে অনুপস্থিত ছাত্রদের পরীক্ষার ফলাফল হচ্ছে খারাপ, তাই ফলাফল ঠিক করতে সিবিএসই বোর্ড নিল নতুন পদক্ষেপ।
@ দেবশ্রী : প্রায়ই স্কুলে বা কলেজে ৭৫% উপস্থিতি থাকা আবশ্যিক থাকে নাহলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না। এবারে নিয়ম করা হয়েছে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ৭৫% উপস্থিতি থাকলেই সিবিএসই এর পরীক্ষায় বসতে পারবে। সম্প্রতি সিবিএসই বোর্ডের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয় স্কুল গুলিকে। ওই নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে যে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে পয়লা জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত যেসব ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ৭৫% রয়েছে তারাই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
সিবিএস ই বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি স্কুলকে পয়লা জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার তৈরি করতে। সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। সিবিএস ই বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে আগামী ৭ই জানুয়ারির মধ্যে স্কুুল গুলিকে তাদের রিজিওনাল অফিস এ উপস্থিতি হারের তালিকা পাঠিয়ে দিতে হবে।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, যে সমস্ত পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশের কম থাকবে তাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছুু নির্দেশিকা জারি করবে বোর্ড। বোর্ডের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে “২০১৯এর ফলাফল নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে যাদের উপস্থিতির হার স্কুলে ৭৫ শতাংশের কম ছিল তাদের ফলাফল খুবই খারাপ হয়েছে। তাই বোর্ড তার পুনরাবৃত্তি চায়না। তাই স্কুল গুলিকে বলা হয়েছে শুধুমাত্রর যাদের স্কুলে ৭৫% উপস্থিতি থাকবে কেবল তাদেরকেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার জন্য।”
তবে যে সমস্ত পড়ুয়ারা ৭৫ শতাংশের কম উপস্থিতি থাকবে তার কারণ জানানোর জায়গা দিয়েছে বোর্ড। কেন অনুপস্থিতি এত তার স্বপক্ষে নির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে স্কুলকে। যদি শারীরিক কোন সমস্যার কারণে আসতে পারিনি কোন ছাত্র বা ছাত্রী তার জন্য চিকিত্সকের সার্টিফিকেট এবং অসুস্থতার সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছেন তার জন্য কোন সরকারি চিকিত্সককের সার্টিফিকেট আনতে হবে।
অবশ্য সিবিএসই বোর্ডের এই নির্দেশিকা বৃহস্পতিবারই কলকাতা স্কুলগুলির কাছে পৌঁছে গেছে। বড়দিনের জন্য গত কয়েকদিন স্কুল গুলি বন্ধ ছিল। বোর্ডের এই নির্দেশিকা নিয়ে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে স্কুলগুলির মধ্যে। বোর্ডের এই নির্দেশিকা নিয়ে কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে না চাইলেও আপাতত পড়ুয়াদেের উপস্থিতি হারের তালিকা তৈরিতে ব্যস্ত সব স্কুল কর্তৃপক্ষ।