এবার দাম চড়াও এর পথে হাঁটছে জিও।
উন্নতির দেখা নেই, তবু বিলের পরিমান বেড়ে চলেছে দরদরিয়ে। অসন্তোষ গ্রাহকরা !
@ দেবশ্রী : গ্রাহক পরিষেবার ধার্য্য মূল্য আবারও বাড়াতে চলেছে একটি টেলিফোন সংস্থা। সম্প্রতি ভোডাফোন, এয়ারটেল ও আইডিয়ার গ্রাহক পরিষেবার বিল বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে। আর সেই পথেই এগোতে চলেছে এবার মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও। মঙ্গলবার তেমনি ইঙ্গিত দিয়েছে জিও। আগামী মাস থেকেও জিওর পরিষেবা মূল্যও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। তবে কতটা সেই পরিমান বাড়বে তা এখনো জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কোনো টেলি সংস্থায় সেই মূল্যের পরিমান জানায়নি। তবে মনে হচ্ছে এবার সুখের দিন গেছে। প্রত্যেকটি সংস্থার দাম বাড়ানোর পর থেকে এবার মনে হচ্ছে সস্তাতে জীবন কাটানো এখন আর হবে না।
মঙ্গলবার জিয়ো দাবি করে, যে পরিমান ডেটার মাশুল বাড়ছে সেই কথা মাথায় রেখে এবং যাতে ডাটা ব্যবহারে কোনো রকম প্রভাব না পরে সেই মতোই ধার্য্য মূল্য বৃদ্ধি করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই পরিবমান বৃদ্ধি হবে। তবে শুধুমাত্র কয়েকটা ক্ষেত্রে এই মূল্য ধার্য করা হবে নাকি গোটা ক্ষেত্রেই এই ধার্য্য মূল্যের প্রভাব পড়বে তা এখনো জানা যায়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে যে, তার পরিমান খুব বেশি বৃদ্ধি হবে না।
টেলিকম সংস্থা গুলির মধ্যে মাত্র কয়েক বছর আগে ব্যবসার মনোভাবনা নিয়ে আসে মুকেশ আম্বানির জিও সংস্থা। মুকেশ আম্বানির এই সংস্থা, কম তাকে ডাটা দান ও ফ্রীতে কথা বলার সুযোগ করে দেয়। তারপরেই বাকি সংস্থাগুলি নিজেদের ব্যবসা বাঁচানোর জন্য, সেই পথেই এগোতে শুরু করে। তারপরে ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে। এর ফলে কম রিচার্জের যে মাশুল গুলি সেগুলিও কমে যেতে থাকে সংস্থায়। পাশাপাশি নিজের সিমের কানেকশানকে বজায় রাখার জন্য, প্রত্যেকমাসে এখন নূন্যতম একটা রিচার্জ করতে হয়।
ভোডাফোন, আইডিয়া ও এয়ারটেল অভিযোগ টেনেছে জিওর বিরুদ্ধে। তাঁদের মতে, জিওর কারণেই তাঁদের ব্যবসার এহেন ক্ষতি হচ্ছে। এই বছর আর্থিক ঘাটতি ঘটে বেশ অনেকটা। তাদের মোট ৭৪ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। কিন্তু রিলায়েন্স জিওর লাভ হয়েছে, ৯৯০ কোটি টাকা।
তবে গ্রাহকরা এর প্রতি অসহযোগ আনছেন। তাদের দাবি এতদিন সস্তার কথা বলে, তাহলে এখন অন্য সুরে গান গাইছেন কেন টেলিফোন সংস্থা গুলি ? তবু তাঁরা জানান যে, তারা বেশি টাকা দিতে রাজি আছে কিন্তু পরিষেবা কি ভালো হবে ? কারন যতদিন যাচ্ছে, মূল্যের হার তো বাড়ছে কিন্তু পরিষেবার মানে কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে নানান সমস্যা। কাউকে ফোন করতে গেলে সংযোগে বেশ দেরি হয়। ডেটার স্পিড আগের তুলনায় অনেক কম। তাই গ্রাহকদের দাবি, তারা বেশি টাকা দিতে রাজি আছে কিন্তু তার পরিবর্তে, পরিষেবার মান আরও বাড়াতে হবে।