“এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষকরা সরকারকে ঘিরে ফেলার ফলে বেতন বাড়াতে বাধ্য হল সরকার” : সুভাষ মুখার্জী সিটু সভাপতি
অবশেষে জয় এলো দীর্ঘ আন্দোলনের , বেতন বাড়লো কিন্তু স্মীকৃতি দিল না এখনো। সম কাজে সম বেতন এর দাবি নিয়ে আবারো রাস্তায় নামবে শিক্ষকরা। বেতন বৃদ্ধির সুখবর শোনাল শিক্ষা দফতর প্রাথমিকের পর ফের এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষক দের।

বামেদের সহযোগিতায় বিকাশ ভবনের সামনে দীর্ঘ অবস্থানে বসেছিলেন এমএসকে এবং এসএসকের প্রার্থীরাা। জানাচ্ছেন, দীর্ঘ লড়াই-এর পর কিছু টাকা বাড়লেও শিক্ষকের মর্যদা দিল না সরকার। সম কাজে সম বেতন দাবী থেকে অনেক পার্থক্য এই ঘোষণার। এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষক দের শিক্ষাদান ছাড়াও সরকারের নানা বিধ ফাই ফরমাস খাটতে হয় এই শিক্ষক দের, তার পরেও স্মীকৃতি না পাওয়ায় আবারো আন্দোলনের পথে যেতে পারে বলে জানালেন রাজ্য সিটু সভাপতি সুভাষ মুখার্জী।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন । সেখানেই বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে। বামেদের তীব্র আন্দোলনের ফলে রাজ্য সরকার কয়েকদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলনের পর তাঁদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে।
দেখে নেওয়া যাক এক নজরে :
১) এসএসকের শিক্ষকদের বেতন ৫৯৫৪ টাকা থেকে বেড়ে হল ১০ হাজার টাকা, এসএসকে প্রধানরা পাবেন ১০,৩৪০টাকা। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ।
২) এমএসকে শিক্ষকদের বেতন ৮৯০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার টাকা, এমএসকের প্রধানরা পাবেন ১৪ হাজার টাকা।
৩) আগে এই এসএসকে এবং এমএসকে পঞ্চায়েত দফতরের আওয়াটা ভুক্ত ছিল এখন থেকে রাজ্য শিক্ষা দফতরের অধীনেই এই কাল চলবে। অর্থাৎ দফতর পরিবর্তনের দাবি অনেক আগে থেকেই করে আসছেন রাজ্য সিটুর তরফ থেকে সুভাষ বাবুরা ।
বামেদের আন্দোলনের দাবী অস্বীকার না করলেও পাস্ কাটিয়ে এই ঘোষণা করলেন সরকার। বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক সুবিধার কথাও এদিন জানানো হয়েছে। এতদিন পঞ্চায়েতের অধীনে ছিলেন এসএসকে এবং এমএসকের সহায়ক এবং সম্প্রসারকরা। এবার রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অধীনে আনা হল তাঁদের।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে পাবেন শিক্ষকদের সমস্ত সুবিধাও। সহায়ক, সম্প্রসারকের পদ থেকে এবার শিক্ষকের মর্যাদা পাবেন এসএসকে এবং এমএসকের শিক্ষকরা।
গত ২০ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরের দিন ২১ জুলাই হওয়ার কারনে ওই সভা বাতিল করা হয়। তাই সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনে তাঁদের দাবি ছিল, সমগ্র শিক্ষা অভিযানের নিয়ম অনুযায়ী শিশু শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক শিক্ষিকা ও সুপারভাইজারদের ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে বেতন বৃদ্ধি কার্যকর করতে হবে এবং বেতন পরিকাঠামো চালু করতে হবে৷শিক্ষক শিক্ষিকা ও সুপারভাইজারদের পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে৷ এস এস কে, এম এস গুলিকে নবম ও দশম শ্রেণী খোলার ব্যবস্থা করতে হবে৷ সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগের অনুমোদন কর্মসংস্থান পরিচয়পত্র দিতে হবে৷ অবিলম্বে শূণ্যপদে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে৷
বামেদের নেতৃত্বে এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সল্টলেক৷ মোতায়েন করা হয়েছিল RAF ও বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ মোতায়েন ছিল মহিলা পুলিশও৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবনগামী উভয় রাস্তা৷ সেই সময়ও সল্টলেকের বিধান মূর্তির পাদদেশে তারা ধর্ণায় বসেছিলেন৷ পরে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে সেই ধর্ণা উঠে যায়৷এই আংশিক সাফল্যের জন্য আন্দোলনকারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্য সিটুর সভাপতি সুভাষ মুখাজী।