কমার বদলে বাড়ছে অপরাধ, এবারে ধর্ষনের শিকার ৬বছরের একটি ছোট্ট শিশু !
হচ্ছে না কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। জাগছে না মনে কোনো ভয়, আর সেই জন্যই বেড়ে চলেছে অন্যায়।

@ দেবশ্রী : না, কমছে না ধর্ষণ এর সংখ্যা। বরং যত দিন যাচ্ছে বাড়ছে এই নৃশংস অপরাধ। হায়দরাবাদ কান্ডকে ঘিরে যখন উত্তাল সারা দেশের জনতা, তার মধ্যে ঘটে গেল আরও একটি অপরাধ। প্রথমে করা হল অপহরণ আর তার পরে করা হল ধর্ষণ ! স্কুলের বেল্ট দিয়েই ফাঁস দিয়ে খুন করা হল ৬ বছরের স্কুলছাত্রী এক শিশুকে। কেড়ে নিল একটা ছোট্ট শিশুর প্রাণ।
ঘটনাটি ঘটে, রাজস্থানের টঙ্ক জেলার খেতাড়ি গ্রামে গত শনিবার। রবিবার গ্রামের অদূরে একটি ঝোপের মধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় উদ্ধারে করা হয় শিশু ছাত্রীর মৃতদেহ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায়, শনিবার স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিল ৬ বছরের ওই ছাত্রী। তারপর, বিকেল তিনটে পর্যন্ত যখন মেয়ে বাড়ি ফেরে না, তখন তার পরিবারের সদস্যরা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ শুরু করে দেয়। রবিবার সকালবেলা স্কুল থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে ওই ঝোপের ভিতর শিশুর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশের কাছে খবর দেয় গ্রামবাসীরা।
মৃতদেহের পাশে পড়েছিল খালি মদের বোতল, ভাজাভুজির ভুক্তাবশেষ এবং পড়েছিল রক্তের দাগ। ইতিমধ্যে শিশুটির মৃতদেহকে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি এবং শিশুর প্রতি ন্যায় বিচারের দাবিতে রবিবার সকালবেলা থেকেই থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান শিশুর পরিজন এবং গ্রামবাসীরা। টঙ্ক জেলার পুলিস সুপার আদর্শ সিন্ধু দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির আশ্বাস দিয়েছেন এবং বলেছেন, ঘটনার তদন্ত করছে বিশেষ তদন্তকারী দল। এই ঘটনার পিছনে কারা কারা জড়িয়ে রয়েছে সেই সব কিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এখনও কাটেনি এক সপ্তাহ, তার মধ্যে ঘটে যায় আরও অনেকগুলি নৃশংস অপরাধ। গ্রেফতার করা ছাড়া নেওয়া হচ্ছে না কোনোরকম কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের তরফ থেকে।