কলকাতায় আতঙ্ক : পানীয় জলে মিলল জন্ডিসের জীবাণু বারোটি নমুনায় ফেল!
কলের জল ও জারের জল দুটোতেই জন্ডিসের জীবাণু মিলেছে।
বাঘাযতীন, যাদবপুর, রামগড় এলাকায় দেখা দিয়েছে জন্ডিসের প্রকোপ।খবর আসছে ঠাকুর পুকুর বেহালাতেও আছে প্রকোপ , পুরসভা সূত্রে খবর- ১৪টি নমুনার মধ্যে ১২টিতেই পাওয়া গিয়েছে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া। জন্ডিসের জীবাণু এই কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া। পানীয় জলে জন্ডিসের জীবাণু পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।কলকাতার ১৫ টি বোরো অফিসের সাস্থ দপ্তরে নির্দেশিকা থাকলেও কি করবেন তা নিয়ে হেলদোল নেই কর্মীদের।
ফিরহাদ হাকিম বলেন,’ কয়েকটি এলাকাতে জন্ডিসের সংক্রমণের খবর মিলেছে’, তবে মেয়রের দাবি- জলের লাইনে কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা প্যাকেজ ওয়াটার বা জারের জলে। ওই এলাকার মানুষ যে প্যাকেজ জল খান বা জারের জল খান, সেই জলে জন্ডিসের জীবাণু রয়েছে।তবে প্রশ্ন যাদের বাড়িতে প্রতিষেধক ব্যবস্থা নেওয়া আছে তাদের বাড়িতে সংক্রমণ হচ্ছে কেন। তাহলে কি জল সরবরাহ পাইপেই কি রয়েছে এই জীবাণু , সাধারণ মানুষের প্রশ্নের সামনে কলকাতা পৌরসভা।
পরীক্ষার পর রিপোর্ট বলছে স্ট্যান্ডপোস্ট মানে কলের জল ও জারের জল দুটোতেই জন্ডিসের জীবাণু মিলেছে। ১৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষায় তারমধ্যে ১২টিতেই একধরনের কনফ্লুয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে এখানে । এই পরিস্থিতিতে এদিন পুরসভার বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিন কলকাতা পুরসভায় কলকাতার বস্তি এলাকা উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়:
১) কোনও বস্তিতে যাতে খোলা ড্রেন না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
২) সংক্রমণ ঠেকাতে বস্তির ভিতরে জল পৌঁছে দিতে হবে।
৩) জায়গা থাকলে বস্তির মধ্যেই আন্ডারগ্রাউন্ড পাম্প করে, সেখান থেকে ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরি করা হবে।
৪) সেই জল বস্তিতে আগুন লাগলে, বিপদের সময়ও ব্যবহার করা যাবে।
৫) আক্রান্তদের খবর ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট করতে হবে কেএমসি তে।