কলকাতায় শব্দের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে : নয়া উদ্যোগ ‘নো হর্ন’ স্টিকার, তৎপর লালবাজার
শহরে আংশিক বধিরতা বাড়ছে , ইএনটি বিশেষজ্ঞদের মতে প্রধান কারণ গাড়ির হর্ন।
নিছকই মজা বা বলতে পারেন নতুন বিলাস বহুল গাড়ীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানোর জন্য মাত্রাতিরিক্ত হর্নের ব্যবহার করেন অনেকেই। আর এই মজা যে অন্য সহ নাগরিকদের সাজা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটা অনেকেই মনে রাখেন না। তাই নতুন উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের। নো হর্ন জোন, অর্থাৎ কোনও রকম হঙ্কিং নিষিদ্ধ, অর্থাৎ পুলিশ এবার ব্যবস্থা নেবে।
শহরবাসী অতিষ্ঠ সেখানেও হর্নের জেরে । সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে পথচারী, নিত্যযাত্রী এবং ট্র্যাফিক পুলিশের অফিসার ,কর্মী থেকে দোকানদার থেকে পথচারী। কলকাতা পুলিশ এ বার সেই হর্নের বিরুদ্ধে জোরদার প্রচারে নামল।
অনেক দিনই ঘটে করে কলকাতার কিছু হাতে গোনা নামি স্কুল, পার্ক স্ট্রীট এ হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নো হর্ন লিখে জনসচেতনতা তৈরি করে. বেশ ভালো কাজ কিন্তু আমপাবলিক কে কার কথা শোনে। দেখা যায় শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত বলে কথা নয় , এক্ষত্রে সকলেই সমান।
আর এই নিয়ে অকারণ হর্নের বিরুদ্ধে শহর জুড়ে হর্ন-বিরোধী সাইনেজ বসানোর সঙ্গে হঙ্কিংয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রজুও করা হচ্ছে বলে পুলিশের বক্তব্য। ফলে হর্ন বাজানোর অভিযোগে বুধবারই শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৯৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন ‘শহরে ৭০০টি ‘নো হর্ন’ সাইনেজ বসানো হয়েছে। গাড়িগুলিতেনো হর্ন স্টিকার সাঁটা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অকারণে হর্ন বাজানোয় মামলাও করা হচ্ছে।’
কলকাতা জুড়ে নো হর্ন জোন করা হয়েছে বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে , ৩১ জুলাই পর্যন্ত শহরের ‘নো হর্ন জোনে’ হর্ন বাজানোর অভিযোগে ১৪৬৫৮টি মামলা রুজু করা হয়েছে। আর অহেতুক হর্ন বাজানোর অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে ৩৮১৮টি।১১০৫টি মাল্টিপল হর্নের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ও ৬৮৪টি এয়ার হর্নের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ।
কোটি কোটি টাকার প্রচার, ফলাও করে রেডিও টিভি তে বিজ্ঞাপন , সভা সমাবেশ , কিছুটা পথ হাটা আর ফ্ল্যাশ বাল্বের ঝলকানি কি সফল হয়েছে আগে , একবার দেখে নেওয়া দরকার। তবে দিনে সামাল দিলেও রাতের আওয়াজ কে সামাল দেবে।মানুষের চেতনা বৃদ্বি কিভাবে হবে , যেখানে দম্ভ অহংকার আর গতির যুগের প্রতি যোগিতা কি মানুষ কে আদেও সৃষ্টিশীল করতে পারবে।