কাঁকুড়গাছি মিতালী’ “এ যেন এক গম্ভীরা মুখোশ নাচের উৎসব “
গম্ভীরা নৃত্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজ পুর জেলায় গম্ভীরা উৎসবে মুখোশ পরে বা মুখোশবিহীনভাবে পরিবেশিত একক বা দলবদ্ধ নৃত্য। এতদাঞ্চলের নিম্নবর্গীয় হিন্দু, কোচ-রাজবংশী, পোলিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে এই নাচের প্রচলন রয়েছে।
ধারণা করা হয় যে, গম্ভীরা উৎসবের প্রচলন হয়েছে শিবপূজাকে কেন্দ্র করে। শিবের এক নাম ‘গম্ভীর’, তাই শিবের উৎসব গম্ভীরা উৎসব এবং শিবের বন্দনাগীতিই হলো গম্ভীরা গান; তবে প্রাচীনকালে এটি সূর্যদেবের উৎসব ছিল বলে মনে করা হয়। মালদহে মূলত চৈত্রসংক্রান্তির শিবপূজা উপলক্ষে গম্ভীরা মণ্ডপে বিগত বছরের প্রধান-প্রধান ঘটনাবলি নৃত্য, গীত ও অভিনয়ের মাধ্যমে সমালোচিত হয়; অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে ছোট তামাশা, বড় তামাশা ও ফুলভাঙ্গা অনুষ্ঠানের গম্ভীরা মুখোশনৃত্য পরিবেশিত হয়। গম্ভীরা গানের চেয়ে গম্ভীরা নৃত্য অনেক প্রাচীন বলে মনে করা হয়।মিতালি কাঁকুড়গাছি ধীরে ধীরে সুনিপুন হাতে ফুটে উঠছে। কাজ অনেক বাকি সময় মাত্রার ৩৫ দিন বাকি।
গম্ভীরা নৃত্য মূলত দু’ধরণের: মুখোশ নৃত্য
মুখোশবিহীন নৃত্য
গম্ভীরা নৃত্যের মুখোশ মোটামুটি পাঁচ রকমের:
হিন্দু পৌরাণিক: বাণ, কালী, নারসিংহী, বাশুলী, গৃধিনীবিশাল, চামুণ্ডা, উগ্রচণ্ডা, ঝাঁটাকালী, মহিষমর্দিনী, লক্ষ্মী-সরস্বতী, হিরণ্যকশিপুবধ, তাড়কাবধ, শুম্ভনিশুম্ভ বধ ইত্যাদির। এই মুখোশের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারসিংহী মুখোশ।
গ্রামীণ বা লোকায়ত: বক, টীপা, মহিষ-রাখালের।
প্রাণী সম্পর্কিত : সর্প, ব্যাঘ্র, হরিণ, হনুমান প্রভৃতির।
সামাজিক বা ব্যঙ্গাত্মক: বুড়োবুড়ি, মেমসাহেব, মাতাল ইত্যাদির।
মিশ্ররীতি: পরী, সাপ, মালি, বাদশা, যাদুকর ইত্যাদির
বাণনৃত্য গম্ভীরা নাচের ভূমিকা। বাদ্যযন্ত্র হিসাবে এতে ব্যবহৃত ঢাকের বোলেও রয়েছে বৈচিত্র্য, যাকে বলা হয় সূত্র। এই পঞ্চসূত্র হল: আবাহন, পূজাবাদ্য, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চালনা, লহর ও বিদায়।
এই পঞ্চসূত্র কালী, চামুণ্ডা, নারসিংহী, বাশুলী, উগ্রচণ্ডা, গৃধিনীবিশাল ও মহিষমর্দিনী — এই সাত ধরণের নৃত্যে প্রকাশিত। এই নৃত্যের দুটি ভাগ:
পৌরাণিক,
মাধ্যমিক।
চারিত্রিক দিক থেকেও গম্ভীরা নৃত্য তিনভাগে বিভক্ত: সাধারণ, ঐন্দ্রজালিক ও লোকায়ত।
এগুলির মধ্যে একক নৃত্য হল নারসিংহী; ১২/১৩ মিনিট ধরে নানা ভঙ্গিমায় কখনো একেবারে তর্জনী নির্দিষ্ট দিকে হেলান বা নির্দেশিত, কখনো শয়ান, কখনো উদ্দামরূপে, কখনো ভ্রামরীতে ঘোরে, কখনো এগিয়ে বিশিষ্ট ‘স্থানকে’ ভঙ্গি নিয়ে দাঁড়ায় নর্তক।
আগেকার দিনে নর্তকীরা সোনার গয়না পরতো, পায়ে বাঁধত নুপূর। এখন ঘুঙুর ব্যবহৃত হয়। নৃত্যে ব্যাঘ্রপদ, সিংহপদ বিশেষ লক্ষণীয়।আর এই নিয়ে সেজে উঠবে এবারের মিতালি কাঁকুড়গাছী। উদ্যোগ নিয়ে আশাবাদী কর্মকর্তারা , আসা করছেন বিগতদিনের থেকে অনেক ভালো হবে।
শুধু মাত্র ৩৫ দিন বাকি। ওপিনিয়ন টাইমস এর ক্যামেরা ঘুরছে সারা কলকাতায় , এবছরের প্রস্তুতি কেমন সেই খবরা খবরের খোঁজে ওপিনিয়ন টাইমস । আর এই নিয়ে জমজমাট আড্ডা। নজর রাখুন সঙ্গে থাকুন : http://www.opiniontimes.in // আমাদের ফেইসবুক পেজ : https://www.facebook.com/pg/opiniontimes.in