কালীঘাটে চিন্তায় ঘুম উড়েছে দিদির: রাজীব কুমার কি গ্রেফতার হতে পারেন ?
৪৮ ঘন্টা আগে তৃণমূল বিপাকে, সকাল থেকে তোরজোর, দিল্লির আইনজীবীদের সাথে কথা বলছেন ক্রাইসিস ম্যানেজারা।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিলো যে রাজীব কুমার-কে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করা যেতে পারে। শুক্রবার এই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ।প্রধান বিচারপতি বলেন, এই রায়-এ সিবিআই মামলার স্বার্থে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করতে পারবে।তবে রাজীব কুমার নিজের যুক্তি দিয়ে পুনরায় আবেদন করতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, চিটফান্ড তদন্তে রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী সিটের অন্যতম প্রধান আধিকারিক রাজীব কুমার মামলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, তথ্য লোপাট ও বিকৃত করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার তলব করা হলেও তিনি আসেননি বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। সিবিআই গত ৩রা ফেব্রুয়ারি রাজীব কুমারের বাড়ী গেলে তাদের কে কলকাতা পুলিশ হেনস্থা করেন এবং তা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখেন না , মমতা ব্যানার্জির ক্ষনিকের অনশন এই অবস্থান কে আরো তীব্র তোরো করে তোলে।
রাজনৈতিক সমালোচকরা বলছেনা
১) রাজীব কুমারের মত দক্ষ কৃতি পুলিশ অফিসারের এই আবহার জন্য সরকার দায়ী। যে ভাবে খুশি ব্যবহার করেছে এই আইপিএস-দের। বহু কিছু আইনের বাইরে কাজ করিয়েছেন যা এক সময় বুমেরাং হয়ে আসবে।
২) রাজীব কুমার যদি ১৯ তারিখের আগে গ্রেপ্তার হয় তাহলে , আগামী নির্বাচনে রাতা রাতি বদলে যাবে সব অঙ্ক। বেরিয়ে যেতে পারে সমর্থনের একটা বড় অংশ , সেটা কিছুটা বিজেপি আর বাকিটা সিপিআইএমে চলে যেতে পারে। তার ফল দাঁড়াবে, আগামী ১৯ তারিখ ৯ টি কেন্দ্র নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার খুব কম মার্জিনে হলেও বেরিয়ে যাবে , কিন্তু বাকি একটাও বেড়াবে না। ফটো ফিনিশে হেরে যাবে তৃণমূল !
সবটাই ধারণা বাকিটা পরিষ্কার হবে আগামী ১৯ ও সর্বোপরি ২৩ শে মে ২০১৯।