ক্রমাগত বাড়তে থাকা পেয়াঁজের দামে নিয়ন্ত্রণ আনার পরিকল্পনাতে কেন্দ্রীয় সরকার।
সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে, পেঁয়াজের দাম শ্বাস রোধ করে রেখেছে। ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা।
@ দেবশ্রী : বিগত কয়েকদিন ধরে, পেঁয়াজ এর দাম নিয়ে মানুষ পড়েছিলেন এক বড় চিন্তায়। যে হারে বাজারে পেয়াঁজ এর দাম বেড়েই চলছিল তা মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার সমান। বলা যায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস বেড়েই চলেছিল এই পেঁয়াজের দাম ঘিরে। ভুক্তভোগী হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। তবে অবশেষে শেষ পর্যন্ত, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকার,বুধবার মন্ত্রিসভা বাজারে সির্ধান্ত জানান যে, ১.২ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। দলীয় বৈঠকের পর, সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনি সির্ধান্তের কথা বলেন, অথমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এর আগেও কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী, পেয়াঁজ আমদানির কথা বলেছিলেন।
নির্মলা সীতারমণের আগে, খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী, রামবিলাস পাসওয়ান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএমটিসিকে, এক লক্ষ পেয়াঁজ আমদানির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিশ্ববাজার থেকে ৪,০০০ টন পণ্য কেনার জন্য দরপত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। দাম কমানোর ক্ষেত্রে, সরকার বেসরকারি আমদানি এবং অন্যান্য নিয়মাবলীতেও ছাড় দিয়েছেন।
আর আগেও পেয়াঁজের দাম কমানোর জন্য কথা উঠেছিল, কিন্তু তার কোন রকম ফল পাওয়া যায়নি তাই এই রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশের রাজধানীতে, পেয়াঁজের দাম প্রতি কেজি ৬০ টাকা। দেশের প্রত্যেকটি জায়গাতে যে রূপ পেয়াঁজের দামাকাশ ছুঁয়েছে, সাধারণ মানুষ পেয়াঁজ কিনতে রীতিমত ভয় পাচ্ছে। পেয়াঁজের দাম বাড়ার কারন হিসাবে, খরিফ মরসুমে ২৬ শতাংশ কমে গিয়ে প্রায় ৫২.০৬ লাখে নেমে যাওয়াকে মনে করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে সারা দেশে পেয়াঁজ এর দাম ছুঁয়েছে, প্রতি কেজি ৬০.৩৮ টাকার কাছাকাছি। গত বছরের তুলনায় দামের পরিমান বেড়েছে অনেকটা। গত বছরে পেয়াঁজ এর দাম ছিল ২২.৪৮ টাকা প্রতি কেজি।
কেন্দ্রীয় সরকার এখন কতটা দাম কমায় বা অন্য কোনো পদক্ষেপ নেন কী না এই বিষয়ে তাই লক্ষণীয়। আশা করা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকার সির্ধান্ত নেবেন।