ক্ষোভ বিক্ষোভে অভিমানী মমতা , তাল কাটলেন বার বার সাংবাদিক সম্মেলনে
মমতা ব্যানার্জি মুসলিম দের ওপর ক্ষুব্ধ, মমতা চেপে রাখতে পারলেন না
মমতা ব্যানার্জী :
১) তৃণমূলের আসন কমলেও ভোট বেড়েছে
২) ভোট টোটাল সেটিং করেছে বিজেপি , আগে থেকে সেটিং করা ছিল
৩) এবার ভোটে যে পরিমান টাকা খরচ করেছে তা দেশের অনেক বড় কেলেঙ্কারি
৪) শেষ ছয় মাসের কোনো কাজ করা যায়নি রাজ্যে , কেন্দ্রের জন্য
৫) যাঁরা যাঁরা ভোট দেন নি আমাকে তারা আমাকে পছন্দ করেন নি , এতে আমি অসম্মানিত
৬) বিজেপির হয়ে কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন
৭) বিরোধীরা কথা বললেই কেন পাকিস্তানি
৮) এখন কেন পাক প্রধান মন্ত্রী কে আমন্ত্রণ
৯) মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে গেছিলাম ,দল আমাকে পদ ছাড়ার অনুমতি দেয় নি তাই এখনও মুখ্যমন্ত্রী
১০) ভেদাভেদের রাজনীতি পছন্দ করি না
১১) উত্তর বঙ্গের দায়িত্বে অরূপ বিশ্বাস
১২) যারা যারা বিজেপি তে যাচ্ছেন তাদের কে আমি নজরে রেখেছি
১৩) সিপিআইএম নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করেছে
১৪) কয়েক টি জেলার নেতা কে বাদ দিয়েছি
১৫) মানুষের কাজ অনেক করেছি , হয়তো বেশিই করেছি , এবার থেকে দলটাই বেশি করে করবো
১৬) আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে বিজেপি
১৭) মুসলিম রাও বিজেপিকে ভোট দিয়েছে
মিটিং এর শেষে রদ-বদল করলেন অনেক পদের , মমতা ব্যানার্জী জঙ্গলমহলের দায়িত্ব দিলেন হল শুভেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি, সরকারি সংগঠনের দায়িত্বেও আনা হল তাঁকে। অন্যদিকে, ডানা ছাঁটা হল অরূপের। বীরভূম, বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম। হুগলি জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে রত্না দে নাগকে। পাশাপাশি, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার দায়িত্ব থেকে সরানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিকে অভিষেক সবার সাথে কো-অর্ডিনেশন করবে। তাই তাঁর দায়িত্ব কমানো হল।
ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি হলেন বীরবাহা সোরেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি হলেন কানহাইয়ালাল আগরওয়াল, চেয়ারম্যান হলেন অমল আচার্য। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি হলেন অর্পিতা ঘোষ। মালদা জেলার সভাপতি হলেন মৌসম বেনজির নূর। চেয়ারম্যান করা হল মোয়াজ্জেম হোসেনকে। বাঁকুড়ার সভাপতি হলেন শুভাশিস বটব্যাল। বিষ্ণুপুরের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন শ্যামল সাঁতরা। বর্ধমান পশ্চিমের সভাপতি করা হল জিতেন তিওয়ারিকে। বর্ধমান পূর্বের দায়িত্বে রইলেন স্বপন দেবনাথ। মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আবু তাহের খান ও চেয়ারম্যান সুব্রত সাহা।
দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হারের পর উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান করা হল অমর সিং রাইকে। উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক হলেন অরূপ বিশ্বাস। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হল বিজয় বর্মণকে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান হলেন অপূর্ব সরকার। HRBC-র চেয়ারম্যান করা হল দীনেশ ত্রিবেদীকে। মালদা জেলা সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানও করা হল মৌসমকে।