খোদ কলকাতায় গ্রেফতার গৃহ শিক্ষক : বাঁশদ্রোণীতে বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে ছাত্রীকে !
পড়ানোর নাম করে ধর্ষণ করে জোর করে ভয় দেখিয়ে , শিক্ষকের কাছে বন্দুন এল কি করে। কে এই শিক্ষক ?
সকলের চোখের আড়ালে একই ছাদের তলায় কি ভাবে সম্ভব এই কান্ড সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।বন্দুকের ভয় দেখিতে এই ধর্ষণ করা হয়েছে। কলকাতার নামি স্কুলের ছাত্রীকে এই নিন্ম ধরণের কাজ করেছে গৃহ শিক্ষক।
কিশোরীর বাড়ির লোকের অভিযোগ রাজীব চক্রবর্তী নামে এক শিক্ষক যিনি বাড়িতে পড়াতেন ওই নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে। ছাত্রীর মুখে অভিযোগ শুনে বাড়ির লোকজন বাঁশদ্রোণী থানায় রিপোর্ট করেন। এর পরই শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।ডিসি সাউথ সুবার্বান সুদীপ সরকার বলেন , তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ছাত্রীটি গৃহ শিক্ষকের বাড়িতে গত কয়েক বছর ধরে পড়ে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে , গৃহ শিক্ষক তার বাড়িতেই রীতিমতো বন্দুক দেখিয়ে তার উপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন, আরো অভিযোগ যে গৃহ শিক্ষক রাজীব ছাত্রী কে হুমকি দেন যদি এই কথা তার পরিবার কে জানায় তাহলে ছাত্রীকে গুলি করে মেরে ফেলবেন তিনি।
ওই শিক্ষকের বাড়ি নেতাজিনগরে, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।প্রসঙ্গত বলা যায় যে ধৃত শিক্ষকের বাড়ি থেকে দুটি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে।আইন অনুযায়ী নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হয়েছে সঙ্গে ডাক্তারি পরীক্ষা।বাঁশদ্রোণী থানা কিশোরীর বাড়ির লোকের সঙ্গেও কথা বলছে ।
পাড়া প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলেছে যে রাজীবের বাড়ির লোক কিছু জানতে পারে নি ? কেন এই ছাত্রী এত দিন কিছু বলেনি কেন ? এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি এই ধরণের অভিযোগ থাকে তাহলে এই ব্যক্তি ছাড় পেয়ে যায় কি ভাবে ? শিক্ষকের কাছে বন্দুক গুলি এলো কি ভাবে ?যদি দুটি কার্তুজ পাওয়া যায় তাহলে বন্দুক টি কোথায়। কে দিল এই সব ? কারা এর পেছনে আছে ?