খোদ দিল্লিতে অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাকে গণপিটুনি : ধৃত ২ , প্রশাসন নির্বিকার
৪ মাসের ওই অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাকে মারধর করা হয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির তুঘলকাবাদে । ঘটনা জানাজানি হবার পর বেশ কয়েকটা দিন কেটে যাবার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে , আক্রান্ত মহিলাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় । তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

এত প্রচার , আইন সব কিছু থাকতেও দেশজুড়ে অব্যহত গণপিটুনির ঘটনা।বছর আটচল্লিশের এক অন্তঃস্বত্ত্বা মূক ও বধির মহিলা কে ছেলেধরা অপবাদে গণপিটুনির শিকার হলেন ।একদল উন্মত্ত জনতা দিল্লির রাজপথে তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করল । কেও শুনছেন না প্রশাসনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিতেও।এর পিছনে একটা সংঘঠিত শক্তি আছে বলে মনে করেন অনেকে।তাই দেশজুড়ে অব্যহত গণপিটুনির ঘটনা। এবার ছেলেধরা অপবাদে গণপিটুনির শিকার হলেন বছর আটচল্লিশের এক অন্তঃস্বত্ত্বা মূক ও বধির মহিলা। দিল্লির রাজপথে তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করল একদল উন্মত্ত জনতা।
দিল্লি পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে । ধৃতদের নাম দীপক (২৭) এবং বি শকুন্তলা (৫২)।এরা থাকেন মন্ডলি এলাকায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।ডিসিপি অতুল কুমার ঠাকুর জানিয়েছেন এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে । নিছকই একটা অজুহাত ডিঙিয়ে নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে বারবার।
এই আক্রান্ত মহিলার পরিবারের জানিয়েছেন,নিখোঁজ ছিলেন বেশ কিছু দিন ধরে। পথ হারিয়ে দিল্লির হর্ষবিহারে পৌঁছে যান তিনি। থাকতে শুরু করেন ফুটপাথে। এই অসহায় মহিলা কে কেও কেও খাবার দিতেন , বিশেষত এই মহিলা মুখ-বধির।মহিলা আসলে ছেলেধরা হটাৎ ২৭ অগস্ট গুজব রটে।উন্মত্ত জনতা এর পরই তাঁর উপরে চড়াও হয় । পুলিশ জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত অন্য অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে । সার্বিক ভাবে মহিলা কমিশন থেকে শিশু ও নারী কল্যানের আধিকারিকরা কেও যোগ যোগ করেন নি এত দিন হয়ে গেল। তার ফলে প্রশ্ন উঠছে এই দপ্তর গুলোর সাহায্য কি পাবেন না অসহায় মহিলারা।