গতকাল কৃষ্ণানবমী থেকেই পুজো শুরু দাসবাড়িতে
উৎসবের উদ্দীপনা আনান্দে মাতোয়ারা , ঐতিহ্যের পরম্পরা কে ধরে রেখেছেন এখনও !
মহালয়ের এখনও বেশ কিছু দিন বাকি। এরই মধ্যে সপরিবারে মর্তে চলে এলেন দুর্গা।কৃষ্ণ নবমী থেকেই পুজোর সূচনা।প্রথা মেনে ট্যাংরার শীল লেনের দাসবাড়িতে পুজো শুরু হয়েগেছে । কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে দুর্গাপুজোর সূচনাই দাসবাড়ির রীতি। যা এবারের পুজোতেও অটুট।বিগত বারো বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে। সেই রীতি মেনেই সোমবার থেকে শুরু হয়ে গেল দাসবাড়ির বনেদি পুজো। প্রথা মেনে মায়ের বোধন করলেন বাড়ির ছেলে।
প্রতিদিন চলে পূজা। সেই সঙ্গে রামায়ণ, চণ্ডী, বেদ পাঠ। সব পুজো যখন শুক্লা ষষ্ঠীতে শুরু হয় তখন এখানে অন্য রকম।বোধন হওয়ার পর থেকেই নিত্যপুজো ও সন্ধ্যারতি-র মাধ্যমে দুর্গার আবাহন সম্পন্ন হয়। আর মহালয়ার পর থেকেই প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী পর্যন্ত দুর্গাকে নিত্য নতুন দ্রব্যাদি উৎসর্গ করা হয়। আর তারপর সাধারণত যে নিয়মে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পালিত হয়ে সেই নিয়মেই পুজো চলে দাস বাড়িতেও।
এমন পুরাণের নির্দেশ তো খুবই ভাল। সবাই এই রীতি মানলে বাঙালির সেরার সেরা উৎসব আরও কত বড় হয়ে যেত। বেশ হত তাহলে।কারও কাছে পুজো চারদিনের। কারও কাছে তা ছ’দিনের। কিন্তু ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়িতে দুর্গাপুজো আঠারো দিনের। অনেক দিনের পুজোর ছুটি। অনেক দিনের মেলা, মজা, আনন্দ। কিন্তু তা হলে যে আবার শীল লেনের এই পুজোর আলাদা হয়ে ওঠা হত না।