গুজরাতের দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আইপিএস অফিসারের অন্য মামলায় যাবজ্জীবন সাজা
'রাজার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছো , তোমার সাজা অব্যাহত ' যাবৎ জীবন কারাদণ্ড অন্য একটি মামলায়। জাতি বাদের বিরুদ্ধে কথা বলা আই পি এস সঞ্জীব ভট্ট অন্য একটি মামলায় যাবৎ জীবন জেল ইটা অনেকেরই ভাবনার বাইরে , জাতীয় স্তরের সমাজ কর্মীরাও কোপে পড়েছিলেন ২০১৫ থেকে ২০১৯।

আইপিএস অফিসারের অন্য মামলায় যাবজ্জীবন,গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এই অফিসার। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গুজরাত দাঙ্গায়। হিন্দুরা মিটিয়ে নিতে পারেন যাতে মুসলিমদের উপর যাবতীয় আক্রোশ , আই পি এস সঞ্জীব ভট্ট অভিযোগ করেছিলেন , মোদী নিজে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে গুজরাটের দাঙ্গা হয়েছিল । আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভট্টকে এ বার যাবজ্জীবন সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট, তিন দশক পুরনো একটি মামলায়।
সঞ্জীব ভট্টের বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছিল জামনগর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন এক বন্দির মৃত্যুতে । শীর্ষ আদালত সেই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে । আর এক প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রবীণসিন জালারও একই সাজা হয়েছে । সাজা ঘোষণা এখনও বাকি দোষী সাব্যস্ত আরও ছয় পুলিশ অফিসারের ।

১৯৯০ সালের গুজরাতের জামনগর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে মোতায়েন ছিলেন সঞ্জীব ভট্ট।রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধে জামজোধপুর এলাকায়, সেইসময় লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং তাঁর সমর্থকদের । ১৫০ জনকে আটক করেন সঞ্জীব ভট্ট। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তিও ছিলেন প্রভুদাস বৈষ্ণণী নামে। তিনি ছাড়া পাওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।প্রভুদাস বৈষ্ণণীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়।পরিবার দাবি করে জেল হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশি নির্যাতনেই প্রভুদাসের মৃত্যু হয়েছে বলে । এই নিয়ে থানায় এফআইআরও দায়ের করেন প্রভুদাসের ভাই।