রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন কৃষকরা, প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিরোধীরা দলেরাও
হচ্ছে পথ অবরোধ, রেল রোকো অভিযান, আরও বাড়বে বাড়তে পারে প্রতিবাদ
দেবশ্রী কয়াল : কৃষি বিল ইস্যু হয়ে চলেছে আরও বড়। প্রতিনিয়ত এই নয়া কৃষি বিল নিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ বেড়েই চলেছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লির একাধিক জায়গার কৃষকরা সামিল হচ্ছেন বিক্ষোভে। কোথাও পথ অবরোধ, কোথাও আবার রেল রোকো অভিযানে নেমেছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই কৃষি বিল ফিরিয়ে দিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আবেদন জানিয়েছেন বিরোধীরা। এবং ওই বিলে রাষ্ট্রপতিকে সই না করতেও আবেদন করেছেন বিরোধী সাংসদদের প্রতিনিধি দল।
এই কৃষি বিল নিয়ে প্রথম থেকেই তীব্র বিরোধিতা চলছিল। সংসদে তুমুল হট্টগোলের মাঝেই কৃষি বিল পাস করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীদের তুমুল আপত্তি সত্বেও তাকে অগ্রাহ্য করে সংসদের দুই কক্ষেই বিল পাস করিয়েছে কেন্দ্র। বিরোধীদের তুমুল হইচইয়ের মধ্যেই গত রবিবার রাজ্যসভায় পাস হয়ে যায় কৃষি বিল। এই সময় অধিবেশন কক্ষে বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বিরোধী দলের সদস্যেরা। অভিযোগ ওঠে বেশ কিছু বিরোধী সাংসদরা বুক ছিঁড়েছেন ও ডেপুটি চেয়াম্যানের মাইক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।এরপর ‘শাস্তি’ হিসেবে রাজ্যসভা থেকে মোট ৮ বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
কিন্তু এর পরেও থেমে যায়নি প্রতিবাদ। কেন্দ্রের কষি বিল, কৃষক স্বার্থের বিরুদ্ধে বলে দাবি জানিয়ে গেছে ক্রমাগত বিরোধীরা। কেন্দ্রকে কৃষি বিল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এর কাছে জানিয়েছে আবেদন বৃদ্ধি দলগুলি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকরাও বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন।
এই বিল পাস হওয়ার পর থেকেই পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লির একাধিক এলাকায় পথে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষকরা। শুক্রবারও ভারতীয় কিষাণ সংগঠন ও বাম সংগঠনের নেতৃত্বে পঞ্জাবের জলন্ধরে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন কৃষকরা। জলন্ধরের ফিল্লাউর এলাকায় অমৃতসর-দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। একইসঙ্গে অমৃতসরেও কেন্দ্র-বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কৃষকরা। অমৃতসরে রেল রোকো অভিযানে নামেন বিক্ষোভকারীরা। রেললাইনে শুয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বহু কৃষক। বিক্ষোভের জেরে ওই রুটে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই প্রতিবাদ, এই বিক্ষোভ বাড়তে থাকবেই, আর কেবল এই জায়গা গুলোতে নয়, আরও পরিধি বিস্তার হবে এই বিদ্রোহের।