ছাত্রদের উপর আক্রমন পুলিশের, প্রতিবাদের পথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা।
প্রতিবাদে সরব দেশের পড়ুয়ারা, চলছে ছাত্রদের উপর শারীরিক অত্যাচার !
@ দেবশ্রী : এবার প্রতিবাদে সরব ছাত্র সমাজের একাংশ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এবার রাস্তায় পড়ুয়ারাও। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রদের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে মাঝরাতেই পথে নামে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা। মশাল, স্লোগান, পোস্টার আর গানে পড়ুয়ারা করছে প্রতিবাদ।
কলকাতা, বম্বে, কোচি, হায়দরাবাদ, পাটনা, আলিগড়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই একই দৃশ্য। রবিবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে দিল্লিতে, দিল্লি পুলিশের রোষের মুখে পড়তে হয় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। অভিযোগ ওঠে যে, ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৫০ জুন পড়ুয়াকে। আর এই ঘটনার পর থেকে প্রতিবাদের পথে নামে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা।
রবিবার মাঝরাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের সামনে শুরু হতে থাকে জমায়েত। এরপর মশাল হাতে নিয়ে মিছিলে বেরিয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। স্লোগান ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু যাদবপুর নয়, বিক্ষোভে শামিল হয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও।
রাতেই পার্ক সার্কাসের সাত মাথা মোড়ে জমায়েত করেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাস থেকে অন্য একটি দল মিছিল শুরু করে এসে যোগ দেয় পার্ক সার্কাসে। কলকাতার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য প্রান্তের পড়ুয়ারাও নেমেছেন এই আন্দোলনে। মৌলানা আব্দুল কালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা জামিয়ায় পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বয়কট করেছেন তাদের পরীক্ষা।
প্রতিবাদের পথে নেমেছে জেএনইউ, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, বম্বে আইআইটি থেকে শুরু করে আলিগড় এবং বিহারের পড়ুয়ারা। আলিগড়েও দেখা যায় চরম অশান্তির। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের জেরে ইতিমধ্যেই ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারত থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ঝাঁজ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। আর তার থেকে বাদ পড়েনি বাংলা, বিহার উত্তরপ্রদেশ এবং সর্বোপরি দিল্লির বিস্তির্ণ অঞ্চল। উত্তাল দেশের অনেক অংশই।