জগন্নাথ ঘাটে ভোর রাতের আগুন নেভাতে ব্যর্থ দমকল দপ্তর, ২০ টি ইঞ্জিন চলছে, আরো ৫ টি যাচ্ছে
বিস্ফোরণে ধসে পড়ল ছাদের একাংশ ,জগন্নাথ ঘাটের রাসায়নিক গুদামে বিধ্বংসী আগুন, আহত ৬
মাঝরাতের লাগা আগুন নেভাতে পারছে না রাজ্য , সেনা ডাকার কথা আলোচনা চলছে। রাত আড়াইটে নাগাদ হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন জগন্নাথ ঘাটের একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন দেখতে পান প্রতক্ষ দর্শীরা , তারপর দেওয়া হয় পুলিশ কে হাওড়া ও কলকাতা দুই পক্ষের সরকারি কর্মচারী ম্যানেজমেন্ট রা ফেল করছে দুপুর ২.৪৫ মিনিট হতে চললো।

এই গুদামের মালিক কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট, জগন্নাথ ঘাটের ওই রাসায়নিক গুদামটি প্রায় পরিত্যক্ত অনেকটা জায়গা , সেখানে অনেক কিছু রেখে যান সিকিউরিটি কে বলে । সরকার ভাবে একটি সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এই গুদামটি যেখানে অবস্থিত, ওই এলাকা ঘন বসতিপূর্ণ, মূলত বড়বাজার সংলগ্ল অঞ্চলের রাতে থেকে যাওয়া মানুষ জন এখানে রাত কাটান দীর্ঘ দিন ধরে, এর পাস পাশি রেল লাইনের পাশে বহু ঝুপড়ি রয়েছে। সেখান থেকেই আগুন লেগে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। বলা যেতে পারে ওই রাসায়নিক গুদামের পাশে নিয়মিত নেশাগ্রস্তদের আড্ডা বসে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। তাদের বিড়ি বা সিগারেট থেকেও আগুন লেগে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাঁদের। এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।

রাতেই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান । পরিস্থিতির তদারকি করছেন তিনি, রাত থেকে ঘটনাস্থলে রয়েছেন দমকল ডিজি জগমোহনও। এখনও পর্যন্ত আগুনের উৎসস্থল পর্যন্ত পৌঁছনো যায়নি।যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে গুদামে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। ভেঙে পড়ার আশঙ্খা ,ফাটল ধরেছে গুদামের ছাদে। ভিতর থেকে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যাচ্ছে। ধসে পড়েছে ছাদের একাংশ। গঙ্গার হাওয়ায় কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক ময় । আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাওড়া ও কলকাতার সংযোগ স্থলে।
স্থানীয়দের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার কারণে । কেন ছিল না অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও, পোর্ট ট্রাস্টের কোনো বড় করতে কে দেখা যায়নি তবে কর্মীরা রয়েছেন, স্টেট ম্যানেজার আছেন কিন্তু জনতার জবাবের সামনে কোন মুখ খুলছেন না । সেই পরিস্থিতিতে আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের এক কর্মী আহত হন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ওই গুদামে অবোধ্য ভাবে এক ২জন রাজনৈতিক নেতার অঙ্গুলিহেলনে অবোধ্য ভাবে মাল পত্র রাখতো স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ওই গুদামের নিরাপত্তা কর্মী ও স্থানীয় পুলিশ এই বিষয়টি জানতো।