জার্মানিতে মহিলাদের ওপর আজও অতীত সমাজের কলংকিত অধ্যায় বর্তমান : মহিলাদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ !

সভ্য সমাজ লজ্জা পাচ্ছে জার্মানিতে , সরকার ও সংবাদ মাধ্যম সত্যতা চাপাদিতে বদ্ধপরিকর। সেচ সেবী সংস্থার রিপোর্টে প্রকাশ। ৬৫,০০০ মেয়েদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ শক্তি ধর রাষ্ট্র ব্যবস্থায়।

পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের হাতের পুতুল করে মহিলাদের হারেমে বন্ধির কথা আজও গল্পের বইতে ছাপা হয়। শুধু ভারতের মত উন্নয়ন শীল দেশে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতি সমানাধিকারের দেখা হয় না বলে যারা নাক সিটকান , তাদের মুখোশ খসে পড়লো। সমগ্র পৃথিবীতে ধোনি কিংবা গরিব দেশ কালের গতিতে কুপ্রথা গুলো আজও বর্তমান।

সম্প্রতি এই স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা দ্য ফ্যাম এই বিষয়ে সে দেশের সরকার কে অনুরোধ জানিয়েছে এই বিষয়ে। জার্মানিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত থাকা এক কুপ্রথা যৌনাঙ্গচ্ছেদ। সাধারণত একটি ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলা হয় নারীর যৌনাঙ্গের বাহ্যিক অংশ , এটা একটি স্থানীয় প্রথা। কট্টর বাদীদের যুক্তি নারীর সতীত্ব রক্ষা এই ভাবে নাকি হয়. সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষাতে জানা গেছে প্রায় ৬৫ হাজার নারী যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার হয়েছেন।

বহুকাল আগে শোনা যেত এই ধরণের কু প্রথা ছিল আফ্রিকার দেশগুলোতে। কিন্তু পরবর্তী কালে এই ধারণার পরিবর্তন হয় অনেকটাই । কিন্তু সভ্য জার্মানিতে এই কুপ্রথা এখনও বর্তমানে এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে , এটাই সারা বিশ্বের কাছে বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে জার্মান সরকার। নারী অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘দ্য ফ্যাম’ জানিয়েছে, যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার ৬৫ হাজার নারী বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন৷

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ডয়শে ভেল-এর পক্ষ থেকে এমন নারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এই ধরণের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে অত্যাচারিত মহিলারা ।এক অত্যাচারিত মহিলা জানিয়েছেন যে , ‘আমার বয়স তখন বারো বা তের। বেশ কয়েকজন আমাকে চেপে ধরেছিল। তারপর আমার ওটা কেটে ফেলে। এরপর আমাকে একটি টেবিলের ওপর শুইয়ে রাখে। সেদিনের ছবি এখনো আমার চোখে ভাসে। আমি প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছিলাম৷ এরপর তারা সেখানে সেলাই করে এবং আমার দুই পা একসঙ্গে একমাসের জন্য বেঁধে রাখে যাতে ক্ষত শুকিয়ে যায়।’

নাম ডাককরা সমাজ তাত্বিক বা মনোবিদরাও কল্পনা আন্তে পারছেন না যে শক্তিধর , প্রযুক্তিতে এগিয়ে – শিক্ষা শিল্প -সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকা আর্থিক ভাবে সচ্ছল দেশটি কি ভাবে এই কু প্রথা বহন করে চলেছে। কট্টর পন্থীদের যুক্তি ” নারীদের সংখ্যা এদেশে বেড়ে যাচ্ছে বলে তাদের অক্ষম করে দেওয়া হচ্ছে? ” কিন্তু প্রশ্ন নারীর যৌনানুভূতি থাকবে না এটা কেমন কথা। বড় ভাবে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি নারীরা জার্মানির সেক্স মেশিন হতে যাচ্ছে? এর ফলে উন্নত সমাজেও নারীরা পণ্যের সমান জায়গাতে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে একদল নিন্ম রুচির মানুষ।

নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফের এক পরিসংখ্যানে ।এই রিপর্টে প্রকাশিত ” ২০ কোটি নারী তথাকথিত শাস্ত্রীয় রীতি পালনের নাম করে যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন সমগ্র পৃথিবীতে ।এই সমীক্ষা টি ৩০ টি দেশের ওপর গবেষণা শেষে নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ জিরো টলারেন্স ফর এফজিএম-কে সামনে রেখে।

কি করা হয় এই কু প্রথার নাম বর্বরোচিত আচরণ , দেখে নেওয়া যাক : ১)একটি ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলা হয় নারীর যৌনাঙ্গের বাহ্যিক অংশ।
২) নারীর সতীত্ব রক্ষার কথা বলে এই কাজ করা হয়।
৩)পুরষতান্ত্রিক সমাজ নারীর যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।
৪) রীতি অনুযায়ী যে নারীরা যৌনাঙ্গচ্ছেদে বাধ্য হন
৫) সাধারণ সমাজ নাকি এই কু প্রথাকে বিশ্লেষণ করে এটা নাকি সম্মান আর সতীত্বের বিষয়।
৬) ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে এই যৌনাঙ্গচ্ছেদ করা হয়।
৭) এই পদ্ধতি প্রয়োগের সময়ে অজ্ঞান করা হয় না। ফলে নারীরা তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Exit mobile version