@ দেবশ্রী : এখন গরমকাল না বর্ষাকাল বোঝাই মুশকিল হয়ে উঠেছে। আগামী ২ মে অবধি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অবস্থান করছে জোড়া ঘূর্ণবাত। আর তার জেরেই টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
আবাহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ ছত্তিশগড় ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। অপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে শুরু করে তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। দক্ষিণ ছত্তিশগড় লাগোয়া ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩.১ থেকে ৪.৫ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত রয়েছে। অপরটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১.৫ থেকে ২.১ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত রয়েছে। এর ফলে বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকছে। তার হাত ধরেই বিভিন্ন জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারিত হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। বইতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াও। অর্থাত্ কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও ভালো মতই তৈরী হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে শহরের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি কম। আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৩ ও সর্বনিম্ন ৬৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১.২ মিলিমিটার। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা থেকে বৃষ্টি হয়েছে ১.০ মিলিমিটার। বলা যেতেই পারে যে পরিমানে বৃষ্টি হয়েছে সেইই তুলনায় তাপমাত্রা নেমেছে একটু বেশিই। দু-এক পশলা বৃষ্টি আজও হতে পারে বলা জানাচ্ছে, হাওয়া অফিস।
মূলত মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি চলছে বিভিন্ন জেলায়। এদিকে সল্টলেকে ১৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মালদায় ২১.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কোচবিহারে ১৮.২ মিলিমিটার, কলাইকুন্ডায় ১৮.০ মিলিমিটার। দার্জিলিঙে ২.২ মিলিমিটার। দিঘায় ৫.২, দমদমে ৪.৬ মিলিমিটার, জলপাইগুড়ি ৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।