জ্যোতিপ্রিয়র গুরুত্ব কমলো ,উত্তর ২৪ পরগনা পার্টির ব্যাপক রদবদল : সিদ্ধান্ত মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের
লোকসভা ভোট হারের পর জেলার ব্যাপক পরিবর্তনেই সিদ্ধান্ত নিলেন :মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়

সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থাকছেন (খবর সূত্রের ) উত্তর ২৪ পরগনার নতুন দায়িত্ব বন্টন
১) বসিরহাট :সুজিত বসু
২) দমদম :তাপস রায়
৩) ব্যারাকপুর: নির্মল ঘোষ
৪) বারাসাত: রথীন ঘোষ
৫) বনগাঁ :গোবিন্দ দাস
কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হল ?
১) দলের মধ্যে চূড়ান্ত দুর্নীতি !
২) নেতাদের সমন্নয় নেই
৩) এলাকা দখলের লড়াইয়ে নেতারা সরাসরি যুক্ত
৪) উত্তর ২৪ পরগনার ভেরি, ইট ভাটি থেকে কোটি কোটি উঠে আসে ঘুরপথে , কিন্তু এই নিয়ে অঞ্চল ভাগ , আর এটাকে কেন্দ্র করে লুটের রাজনীতি তৈরী হয়েছে যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই খুন হয়েছে , সাম্প্রতিক আরো বিভেদ তৈরী হয়েছে।
৫) নেতাদের খারাপ ব্যবহার কর্মীদের সাথে।
৬) পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়া নিয়ে বিস্তর বিবাদের ফলে দলের বিভাজন তৈরী হয়েছে , ভাগ না পেয়ে বিজেপির দিকে চলে গেছে।
৭) যারা অঞ্চলে রাজনীতি করছে তারা সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারছে না। কারণ প্রতিশ্রুতি মত কাজ হচ্ছে না।
৮) সাধারণ মানুষ থেকে গরিব মানুষ তৃণমূল নেতাদের এড়িয়ে চলছে কেন ?
৯) দলের ওপর বিস্বাসের ধস নেবেছে নেতৃত্ব বুঝতে পারছে
১০) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ওপর অধিকাংশই নেতারা ক্ষেপে আছেন
১১) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ব্যবহার খারাপ ও ঘোষ্ঠী তৈরির অভিযোগ
১২) মমতা বুঝলেন দলে এসে নেতারা যে রিপোর্ট দেয় তা সত্যি নয়
১৩) পঞ্চায়েত সদস্য থেকে মন্ত্রী নেতাদের এতো সম্পত্তি বেড়ে যাওয়া , প্রতিটি কাজে দুর্নীতির অভিযোগে অতিষ্ঠ দল
১৪) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অন্যান্য দলের নেতা কর্মীদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন , যা মিডিয়া বড় করে দেখায়। এতে দলের ভাব মূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
এখনই জেলা সভাপতি বা মন্ত্রী থেকে বাদ নয় কারণ বিজিপিতে চলে যেতে পারে এরকম সম্ভবনা আছে দলের নেতারা মনে করেন। তাই বাদ না দিয়েও গুরুত্ব কমিয়ে দিলেন মমতা।