টলি পাড়া অস্তাচলে , ক্ষোভ বিক্ষোভে কাজ বন্ধ : ভবিষ্যৎ সংকটময়
আবারও উঠল প্রশ্ন বাংলা ছোটপর্দার ভবিষ্যৎ নিয়ে।কিছুদিন আগেই সংবাদ মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করে কর্মী থেকে কলাকুশলীরা। ছোট পর্দার রোজগার ভালো তবে পেমেন্ট কেন দিচ্ছে না মালিক পক্ষ।
কার কালো ছায়া পড়েছে টলি পাড়ায় , কে এমন সাহস দিচ্ছে বা কার মদতে এতটা সাহস পাচ্ছে। এই সব প্রশ্ন নিয়ে বেশ কয়েক মাস যাবৎ অসন্তোষ শিল্পী থেকে কলাকুশলী।সরকার ঘনিষ্ঠ প্রযোজক সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিকের শিল্পীদের বকেয়া পারিশ্রমিক না মেটানোর অভিযোগ উঠছিল। বকেয়া টাকা কবে দেবেন তার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
যথারীতি এড়িয়ে যাচ্ছেন সুব্রত রায়, শিল্পীদের টাকা না মেটানোয় প্রোডাকশনসের অধীনে থাকা সমস্ত সিরিয়ালের শ্যুটিং বন্ধের ডাক দিয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম। সুব্রত রায় প্রোডাক্শনের কাছে কোটি কোটি টাকা পায় এমনই অভিযোগ ।যা জানা যাচ্ছে ‘মনসা’ ধারাবাহিককে শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। আগামী ৩১ আগস্ট এই ধারাবাহিকের শেষ সম্প্রচার বলে চ্যানেল সূত্রে খবর ছিল। ফলে সোমবার থেকে এই ধারাবাহিকের শ্যুটিংও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’, ‘দেবী চৌধুরানী’ ধারাবাহিকের শ্যুটিংও আপাতত বন্ধ। আর সব কোটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে । ফলে রোজগারও বেশ ভালো । কিন্তু বকেয়া টাকা মেটানোর কোন ইচ্ছে প্রকাশ করছেন না সুব্রত রায় প্রোডাক্শন এমনটাই অভিযোগ।
আন্দাজ করছেন অনেকে অন্য বড় প্রোডাকশন হাউস এর কাছে হাত বদল হতে পারে। এর ফলে এমনকী খুব তাড়াতাড়ি ‘দেবী চৌধুরানী’ও নাকি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দফায় দফায় মিটিংও সেরেছে আর্টিস্ট ফোরাম, বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে ওই প্রযোজনা সংস্থার। কিন্তু ফল শুন্য , কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি বলেই খবর , অসন্তোষ ও ক্ষোভ বাড়ছে সকলের মধ্যে।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় আর্টিস্ট ফোরামের তরফে সাধারণ সম্পাদক বলেন ” আপাতত ওই প্রযোজনা সংস্থার সমস্ত শ্যুটিং বন্ধ। আমরা মিটিং করে তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’” এই প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। এই ক্ষেত্রে সুব্রত রায় স্বীকার করে বলেছেন আগামী ” রবিবার টাকা দেওয়ার শেষদিন ছিল। কিন্তু আমি পুরো টাকাটা জোগাড় করতে পারিনি বলে টাকা দিতে পারিনি।’শিল্পী ও কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক বকেয়া রয়েছে এটা সত্যি। ”
সুব্রত রায় মানছেন না যে কোটি কোটি টাকা বকেয়া রাখার অভিযোগ উঠছে, তিনি বলেন ‘ আমার কয়েক মাসের টাকা দেওয়া বাকি। আমার থেকে লোকে নাকি কোটি কোটি টাকা পাবে। এটা একদমই ভুল কথা। শিল্পী ও কিছু ভেন্ডারের গত মাসের পেমেন্ট বাকি আছে। টাকা জোগাড় করতে পারলে আজ, বুধবারের মধ্যে আমি সবার সব বকেয়া মিটিয়ে দেব।’তবে এরকম কথা সুব্রতবাবু অনেক বলেছেন, এর কোন বাস্তবতা নেই এরকমই অভিযোগ পায়নাদারা