ডিজিট্যাল ভাবে ঘুষ নিতে গিয়ে, সাসপেন্ড হন চার পুলিশকর্মী।
বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে ঘুষের অভিযোগ, তবুও কমেনি সেই উপদ্রব।
@ দেবশ্রী : ঘুষ নিতে গিয়ে অনেকে পুলিশই আজ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেছে তবে এবারে নতুন পদ্ধতিতে ঘুষ নিতে গিয়েই সাসপেন্ড হয়ে গেল চার পুলিশ কর্মী। মদ্যপান করে, গাড়ি চালানোর জন্য বেঙ্গালুরুতে জরিমানা করা হয় কয়েকজনকে। তবে অভিযোগ ওঠে, সেই টাকাটি সরকারের খাতাতে না গিয়ে ঘুষের আকারে চলে যায় ওই ট্রাফিক পুলিশদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘুষ নেওয়ার এমন অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে বেঙ্গালুরু পুলিশ। সেখানে প্রমান পাওয়া যায় চার পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। তদন্তে দেখা যায়, বেঙ্গালুরুতে অশোকনগর ট্রাফিক পুলিশ স্টেশনের চার কর্মী ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েছেন। ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, অ্যাসিট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর মুনিয়াপ্পা এবং তিন কনস্টেবল গঙ্গারাজ, নাগরাজ এবং হর্ষ।
জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ (ট্রাফিক) বি আর রবিকান্ত গৌড়া এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্তরা ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন। এমনকি ট্রাফিক নিয়ম না মানার বিষয়টি দেখার ডিউটিও তাঁদের ছিল না। অথচ তাঁরা মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে অ্যালকোমিটার দিয়ে পরীক্ষাও করতেন। তাঁরা নিজেদের মতো করে ফাইন তুলছিলেন, আর সেই টাকা জমা হচ্ছিল তাঁদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে।তদন্তের মাধ্যমে উঠে আসে যে, তাঁরা এই কাজ অন্তত গত এক মাস ধরে করে চলছিলেন।
তদন্তের পর আরও জানা যায়, ওই চার পুলিশকর্মী নিজেরাই তিনটি অ্যালকোমিটার জোগাড় করেছিলেন। সেই অ্যালকোমিটার দিয়ে, মদ্যপ ড্রাইভারদের ধরে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছিলেন তাঁরা। আর টাকা না দিলে হুমকি দেওয়া হাত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার। অভিযোগ উঠেছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাঁরা নগদেও ঘুষ নিয়েছেন। ওই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর বিবেকানন্দ পুলিশ স্টেশনে জোর করে টাকা আদায় ও সরকারি পদের অপব্যহারের অভিযোগ দায়ের হয়। তারপর অভিযুক্তদের কাছ থেকে তিনটি অ্যালকোমিটার, ৩২ হাজার নগদ ও কিছু ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়। এর পরেই ওই চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়।