ঢালাও মদের লাইসেন্সের বদলে কাজের খোঁজ দিন যুবকদের : সরকারের কাছে “‘আক্রান্ত আমরা’ পক্ষ থেকে আবেদন “
এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের 'ঢালাও মদের দোকানের প্রসার ঘটিয়ে রাজ্যের আয় বাড়ানোর ভাবনা' পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব রাখছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ভেবে দেখুন। 'আক্রান্ত আমরা'র প্রতিনিধি দলে ছিলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র, প্রতিমা দত্ত, ভাস্কর চন্দ্র দাস, অরুণাভ গাঙ্গুলী এবং সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।
অরুণাভ গাঙ্গুলী ও অম্বিকেশ মহাপাত্র : রাজ্যের সরকার রাজ্যব্যাপী মদের ঢালাও ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছেন। এমনকি উৎসবের মরশুমেও মদের দোকান দিবারাত্র খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছেন। ফলে রাজ্য সরকারের আবগারি শুল্কজনিত আয় রেকর্ড মাত্রা ছাড়িয়েছে।

এই অবস্থায় গ্রাম বাংলায় বহু বহু অবৈধ বেসরকারি মদের দোকান থেকে সহজে মদ সংগ্রহ করা যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আপরাধমূলক কার্যকলাপ দ্রুত বেড়ে চলেছে। পুলিশ প্রশাসন প্রাণান্তকর চেষ্টা করে সবকিছু আড়াল করতে পারছেন না। কার্যতঃ জনরোষের ফলে, যেখানে মহিলাদের অংশগ্রহণ প্রণিধানযোগ্য।

আজ এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ‘আক্রান্ত আমরা’ মঞ্চের প্রতিনিধি দল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার হরিহরপুর গ্রামের তপন কুমার ফৌজদার মহাশয়ের কন্যা এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, দিন দুপুরে ৫ জন মদ্যপ যুবক ছাত্রীকে লোকালয় থেকে অদূরে পুকুর পাড়ে ঝোপের মধ্যে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে। এলাকাবাসী, বিশেষ করে মহিলারা, জানবার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এফ আই আর গ্রহণ করে ৫ বিকৃতমনস্ক অপরাধী যুবকদের গ্রেফতার করে। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঐ গ্রামে ১৮ বছর উর্ধ্ব প্রায় ২১০০ জনের বসবাস। সেই গ্রামে প্রায় ৪০ টি অবৈধ এবং বেসরকারি মদের ঠেক রয়েছে। চায়ের দোকান, পানের দোকান সর্বত্র। সন্ধ্যার পর সর্বত্র মদের আসর বসে। সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্তরূপ!
What Do You Think এই বিভাগে আমাদের হোয়াটস আপে (৮০১৭৪০২৫৩৯) যদি আপনারা আপনাদের উদ্যোগ জানাতে চান , তা হলে আমরা আপনাদের মতামতকে সামনে রেখেই তা প্রকাশিত করবো (এই মতামতের জন্য সংবাদ মাধ্যম কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না , তবে যে কোন সামাজিক বিষয় প্রাধান্য পাবে। )