তাপমাত্রার মান বাড়লেও রাজ্যে বজায় থাকছে শীতের আমেজ।
বেশ অনেকটাই দেরিতে রাজ্যে প্রবেশ করে শীত, তবে দীর্ঘস্থায়ী হবে এই শীত বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
@ দেবশ্রী : তাপমাত্রার মান বাড়লেও শীতের দাপট কিন্তু কমছে না। বড়দিনের দিন রাজ্যের তাপমাত্রা বাড়বে এমনটাই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। ২৫ ডিসেম্বরের পরের দিনেও এক ধাক্কায় ২ ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা। কিন্তু তারপরেও শীতের আমেজ যেন বেশ খানিকটা বেড়েছে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঠান্ডায় বেশ কাবু রাজ্যের মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেঘলা হয়ে রয়েছে আকাশ। রাজ্যের কোনও কোনও অংশে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গে অবশ্য ঠান্ডার পরিস্থিতি একই থাকছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এই মেঘলা পরিবেশ ও বৃষ্টি বেশিদিন থাকবে না বলেই জানিয়েছে আলিপুর। কয়েক দিন পর থেকে ফের বাংলায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এই ঠান্ডা দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেই জানা গেছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃহস্পতিবার ২ ডিগ্রি চড়েছে পারদ। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সেইসঙ্গে কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলাগুলিতে অবশ্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। সারাদিনই আকাশ মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে তাপমাত্রা বাড়লেও ঠান্ডা আমেজ বেশ বজায় রয়েছে। একটুও কমেনি শীতের আমেজ।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই একটু একটু করে বেড়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। পাশাপাশি মেঘলা আকাশ এবং বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে ভোরের দিকে প্রায় প্রতিদিনই ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আপাতত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কেটে গেলেও উত্তর-পশ্চিমের পার্বত্য অঞ্চল থেকে হিমশীতল হাওয়া ভূখণ্ডে প্রবেশের পথে সামান্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ঘন কুয়াশা। তবে তাতে ঠান্ডার বিশেষ হেরফের হয়নি। আগামী দিন গুলিতে আরও বাড়বে শীতের পরিমান। জাঁকিয়ে শীত পড়বে রাজ্যে।