দূর্গা কার্নিভাল কি শুধুই উৎসবের প্রয়াস না ধর্মীয় ভাবাবেগ কে উৎস্কিয়ে দেওয়া!
দূর্গা কার্নিভাল নিয়ে কটাক্ষ বিপক্ষের , কেওই মেনে নিতে পারছেন না এতো খরচ।
সায়ন্তনী রায় : বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সব ধর্ম জাত-পাত মিলে মিশে এই চারটে দিন বাঙালীদের কাছে এক আনন্দের সময়। প্রয়াস থাকে সারাবছর অর্থ সংগ্রহ করে রাখতে হয় এই কটাদিনের জন্য।এবছরের মতো পুজো শেষ।সবার চোখে এক দুঃখের আভাস।কার্নিভাল কিন্তু এখনও বাকি।আগে দশমীতে মাকে বিদায় জানানো হতো।যার জন্য অনেকই প্যান্ডেলের ঠাকুর দর্শন করতে পারতেননা।এখন সাধারণ মানুষের জন্য নতুন ব্যবস্থা করে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে কলকাতার বেশিরভাগ ঠাকুর নিয়ে যাওয়া হয়।এবারের কার্নিভালের থিম ‘রাঙামাটির বাংলা’৷চূড়ান্ত ব্যস্ততা রেড রোডে৷’রাঙা মাটির বাংলা’ থিমের সঙ্গে সামজ্ঞস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে দুটি পেল্লাই মঞ্চ। প্লাস্টার অব প্যারিস ও ফাইবারের সূক্ষ কারুকাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পোড়া মাটির এফেক্ট।প্রায় ৮০টি পুজো অংশ নেবে কার্নিভালে৷ সর্বোচ্চ ৩টি ট্যাবলো আনা যাবে৷ প্রতি পুজোর ৫০ জন অংশ নিতে পারবেন৷চন্দননগরের আলোয় সাজবে রেড রোড৷
রেড রোড কার্ণিভালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কন্সুলেটে আমন্ত্রণ পত্র গেছে প্রতিবারের মতো।বিভিন্ন কন্সুলেটে কানাফুসা চলছে একটা ধর্মকে কেন্দ্র করে রেড রোডের ব্যবস্থা। কিন্তু এটি সারা বাংলার পুজো।তাই সারা বাংলার মানুষ জানতে চায় এই কার্নিভালে শিল্প ও সংস্কৃতির ব্যবসার মান কতটা বেড়েছে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।আমন্ত্রণে তারা আসবেন,আমন্ত্রণে তারা অংশগ্রহনও করবেন কিন্তু তাদের প্রশ্ন রয়েই যাবে একটি ধর্মকে কেন্দ্র করে কার্নিভাল কেন ? আরও তো অনেক ধর্ম আছে। সারা বাংলার মানুষ বলতে সব ধর্মকে কেন্দ্র করে ধরা হয়। এই নিয়ম কেন্দ্র করে এদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকি বাড়ছে ?তা নিয়ে প্রশ্ন তাদের।কলকাতায় অবস্থিত প্রতিটি বিদেশি দূতাবাসের কর্তা-সহ শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের লোকজন এবং শহরের বিশিষ্ট জনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেখানে।কর্পোরেটররা আসেনি কারণ শেষের ৯বছরে তারা বড়ো শিল্প হয়নি।বিদেশী বিনোয়োগও আসেনি।তাহলে এই শিল্প ও সংস্কৃতি যে পিছিয়ে পড়ছে সেই ব্যাপারে কি ভাবনা রাখবেন।