পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই কমানো হবে সিলেবাস, বাদ যাবে না কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
করোনার জেরে বাদ দিতে হবে সিলেবাস, পরামর্শ চাইছে সিলেবাস কমিটি
দেবশ্রী কয়াল : মারণ করোনার জেরে অব্যাহত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল। আর এর মধ্যেই গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। তবে আগামী বৎসর কী হবে ? কবে হবে পরীক্ষা ? পরিস্থিতি যা তৈরী হয়েছে তাতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে কবে স্কুল খুলবে তার কোনো ঠিক নেই। এই পরিস্থিতিতে সিলেবাস কমানো নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে জল্পনা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়েছে সিলেবাস কমিটি।
করোনার প্রভাবে যখন শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়েছে বাঁধা তখন মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ অন্যান্য ক্লাসের সিলেবাস কীভাবে এবং কতটা কমানো সম্ভব তা নিয়ে শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চেয়েছে সিলেবাস কমিটি। এই বিষয়ে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার জানিয়েছেন, “শতাংশের হিসেবে কখনো সিলেবাস কমানো যায় না। তাই সিলেবাস কমানোর আগে দেখতে হবে পড়ুয়ারা যেন পরবর্তী ক্লাস বা পরবর্তী পর্যায়ে গিয়ে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়। তাই কোনও একটা বা দুটো চ্যাপ্টার বাদ দিয়ে সিলেবাস কমানো হবে না। এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের কথায় মাথায় রেখেই সিলেবাস কমানোর পদ্ধতি কাজ শুরু হবে।”
তিনি বলেন, ” ধরে নেওয়া যাক একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণীতে পদার্থবিদ্যার কোনও একটি বিষয় সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হলো। আর সিলেবাসে নেই তাই ছাত্রছাত্রীরা তা পড়ল না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে জয়েন্ট বা সর্বভারতীয় কোনও পরীক্ষায় প্রশ্ন এলে তখন তারা কী করবে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে সিলেবাস কমানোর কথা ভাবতে হচ্ছে।” তবে সিলেবাস কমানোর ক্ষেত্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে কখনও আপস করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভীক মজুমদার। জানা যাচ্ছে, সিলেবাস কতটা কমবে বা কীভাবে সাজানো হবে সেই চিত্র স্পষ্ট হবে আগস্ট মাসের মধ্যেই।