‘দেশের এমন পরিস্থিতিতেও অভিনেতারা চুপ, ভয় পান তাঁরা’ : নাসিরুদ্দিন শাহ
বরাবর নিজের স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য পরিচিত অভিনেতা নাসিরুদ্দিন, এবারে আঙুল তুললেন বলিউড সেলিব্রেটিদের উপর।
@ দেবশ্রী : দেশ এখন উত্তাল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আবারও মন্তব্য করলেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। এর আগেও অসহিষ্ণুতা এবং গণপিটুনি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তবে এবারে তাঁর লক্ষ্য কিন্তু প্রশাসন নয়। এবারের লক্ষ্য বলিউড সেলিব্রেটিরা। বরাবরই স্পষ্টবক্তা হিসাবে তাঁর পরিচয়। নিজে পেশাগত জীবনে অভিনেতা হলেও পর্দা আর কল্পনার জগতে নিজেকে আটকে রাখেননি তিনি। ‘সেফ সাইডে’ থাকতে কখনও বিতর্কিত বিষয় নিয়েও চুপ থাকেননি। বরং বরাবরই নিজের বক্তব্য সবার সামনে তুলে ধরেছেন।
তাই CAA আর NRC নিয়ে যখন দেশ জ্বলছে, তখনও চুপ থাকলেন না তিনি। স্পষ্ট জানালেন, বলিউডে এমন অনেক অভিনেতা রয়েছেন যাঁরা নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করতে ভয় পান। অনেক কম অভিনেতাই আছেন, যাঁরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। যাঁদের মুখের কথা সত্যিই প্রভাব ফেলে, তাঁরাই মৌন থাকেন। অবশ্য এর পিছনে কারণও দেখিয়েছেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তিনি বলেন অভিনেতারা অনেক কিছু হারিয়ে ফেলার ভয় পান, তাই রাজনৈতিক বিষয়ে নিজেদের মুখ খুলতে চান না।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে উদাহরণও দিয়েছেন নাসির সাহাব। ছবিতে অভিনয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, কখনও যদি কোনও অভিনেতা বসতি বাসির চরিত্রে অভিনয় করেন, তাহলে বসতিতে গিয়ে তাদের জীবন সামনে থেকে দেখার বদলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চড়ে বসতির জীবন দেখেন। কিন্তু যদি তাদের সঙ্গে মিশে না যাওয়া হয় তবে বসতিবাসীদের জীবন, যন্ত্রণা, কাজ কীভাবে বোঝা যাবে? কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটাই হয়।
এই CAA’র বিরোধিতায় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারনে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে ফারহান আখতার, স্বরা ভাস্করের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। একলাফে অনেক ফলোয়ার হারিয়েছেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপও। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মারধরের প্রতিবাদ করে টুইট করেছিলেন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়াও। হাজার কটাক্ষ সত্ত্বেও প্রতিবাদ থেকে পিছু হটেননি তাঁরা। উলটোদিকে, এ বিষয়ে নীরবতা পালন করে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে শাহরুখ-সলমন-আমির খানকে।