দোকানে আর নয়, হাওড়ায় এবার হোম ডেলিভারি মাধ্যমে মিলবে ওষুধ…
বালি থেকে বটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত ১২টি থানা এলাকায় এই ব্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে।
প্রেরনা দত্তঃ এত কিছুর পরও রাস্তায় বেরোচ্ছিলেন লোকজন। তাই বাজার-দোকানে ভিড় বন্ধ করতে বিশেষ নজরদারির আওতায় থাকা এলাকায় বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছনোর উদ্যোগ নিয়েছিল হাওড়া পুর নিগম। বালি থেকে বটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত ১২টি থানা এলাকায় এই ব্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে। থানাগুলি হল বালি, বেলুড়, লিলুয়া, মালিপাঁচঘরা, গোলাবাড়ি, হাওড়া, শিবপুর, জগাছা, চ্যাটার্জিহাট, ব্যাঁটরা, দাশনগর ও বটনিক্যাল গার্ডেন। এ সব এলাকায় মুদিসামগ্রী, ওষুধপত্র বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারেটের তরফে ‘হাওড়া সিটি পুলিশ হোম ডেলিভারি কন্ট্যাক্ট পোর্টাল’ শীর্ষক একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সেখানে প্রতিটি থানা এলাকায় ওষুধপত্র ও মুদিখানা সামগ্রী পেতে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। ডেলিভারির কাজে গতি আনতে স্থানীয় ক্লাবগুলির সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে।
সোমবার থেকে চারটি থানা এলাকায় চালু হয়েছে ওষুধের হোম ডেলিভারি। আরও আটটি মিলিয়ে মোট এক ডজন থানা এলাকায় এই পরিষেবা চালু হবে শীঘ্র। সিটি পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও। ইতিমধ্যে ওই বারোটি থানা এলাকায় সব্জি বাজার ও মুদির দোকান রবিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকায় ঠেলাগাড়িতে করে চলছে সব্জি বিক্রি। তবে ওষুধের হোম ডেলিভারি চালু হয়ে গেলেও দোকান সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করা হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতটা সম্ভব ওষুধের আগাম অর্ডার নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার।
হাওড়ায় গত ৪ দিনে নতুন করে আরও ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ায় কিছুটা চিন্তিত প্রশাসনিক কর্তারা। সংক্রমণ যাতে আর কোনওভাবেই না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা।