নতুন বন্ধুত্বের নামে দেহ ব্যবসার ফন্দি : ফ্রেন্ডস ক্লাবের নামে প্রতারণা , গ্রেপ্তার তিন
অল্প বয়েসীদের মধ্যে দেহ ব্যবসার প্রবণতা বাড়ছে , উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসন। প্রশ্ন পিছনের মদতডাটাটি করা ?
ফ্রেন্ডস ক্লাবের নামে প্রতারণার দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করল হাবরা থানা মসলন্দপুর ফাঁড়ির পুলিশ। গতকাল রাতে মসলন্দপুর ফাঁড়ির পুলিশ গোপন খবর পেয়ে মসলন্দপুর থানার সাতপুর এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল রিঙ্কু দাস চক্রবর্তী, প্রিযা রায, সুস্মিতা সেন। তাদের পাঁচদিনের পুলিশি হেপাজত চেয়ে বারাসত আদালতে পাঠিয়েছে হাবরা থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর উত্তর 24 পরগনার হাবরা থানা মসলন্দপুর ফাঁড়ির পুলিশ মসলন্দপুর সাতপুর এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয়। সেখান থেকে তিন জনকে আটোক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সাতপুর এলাকায় বাজাজ কনসালটেন্সির নাম করে একটি বাড়ি ভারা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের নামে চলছিল প্রতারণা চক্র। তাদের মূল টার্গেট সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে ও মেয়েদের। তাদের কাছ থেকে মেম্বারশীপ ১২৩০ টাকা করে নেওয়া হতো। তাদের জানানো হতো এই ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সীর ছেলে এবং মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারবে এবং তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যাবে। আর সেই ফাঁদে পা দিয়েছিল বেশকিছু। মেম্বারশিপ নেওয়ার পরে দেখা গেছে কোন সার্ভিস এখান থেকে পেত না। এভাবেই রেজিস্ট্রেশন করা সম্পূর্ণ টাকাটা প্রতারণার ফাঁদে চলে যেত। এই ঘটনা লোকলজ্জার ভয়ে প্রতারিতরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানাতে পারত না। ফলে রমরমিয়ে রমরমিয়ে চলেছিল প্রতারণার।