নারী সশক্তিকরণে আজকের কন্যাশ্রী: ৩০ ঘন্টার অবস্থান পরে যুগল বন্ধি আজ একসাথে চির স্বপথে
মনের মিলটাই বড় কথা , অর্থ পরিশ্রমে আসে , আজ নেই তো কি হয়েছে , কালই আসবে। ছেলেরা কাজকরে তাই মেয়ের বিয়েতে রাজি হয় উভয় পরিবার। কিন্তু মেয়েরা কাজ করলে ছেলেকে বিয়ে করতে পারবেনা কেন ? এতে কি সমাজের মাথা নিচু হবে। বড় প্রশ্ন সমাজ মাতবরদের সামনে

৩০ ঘণ্টা ধরনা যুবতীর ধর্নায় মিললো বিয়ের ছাড়পত্র , রোজগারই সব নয় ভালোবাসা অনেক বড় কথা। বোঝাতে ৩০ ঘন্টার চেষ্টা।
রোজগেরে কন্যার বেকার প্রেমিক , বাদ সাজছিলো উভয় পরিবার কিচি সদস্য। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল রোজগেরে কন্যাকে যে বেকার ছেলে কে বিয়ে করে হবে তা কি , তোর জন্য অনেক ভালো ছেলে আছে। কিন্তু একরোখা কন্যা , একই কথা কথা যখন দিয়েছি এ বিয়ে হবেই , আজ কে রোজগার করছে না কালী করবে এ নিয়ে সম্পৰ্ক কেন ভাঙতে যাবো। কন্যার মানসিক জোর এতটাই আদায় করে নীল অনুমতি দুই পরিবার থেকে অবশেষে।
কালীমন্দিরে দেবীকে সাক্ষী রেখে হয় সিঁদুরদান আর আইন মেনে রেজিস্ট্রি করেও হয় বিয়ে।শুক্রবার চুমকি-সুশান্তর প্রেমকথার সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লারোড।একটি ক্লাবের উদ্যোগে চুমকি-সুশান্তর চার হাত এক করা হয়। তিরিশ ঘণ্টার ধরনার পর প্রেমিককেই স্বামী হিসেবে পেলেন চুমকি। কিন্তু চুমকি বিয়েতে অনড়।
তিন বছরের প্রেম। প্রেমিকা চুমকি সদ্য একটা কাজও পেয়েছেন। প্রেমিক সুশান্তর অবশ্য এখনও সেভাবে রোজগার নেই। তাই বিয়ের পথে অন্তরায় হয়েছিল প্রেমিকের আর্থিক অসচ্ছ্বলতা। শেষ পর্যন্ত সাড়ে । আর্থিক কারণে এখনই বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না সুশান্তর পরিবার। বাড়ির সামনে ধরনায় বসে পড়েন। সুশান্তকে বিয়ে না করা পর্যন্ত তিনি উঠবেন না বলে পণ করেন। দুই পরিবারে টানাপোড়েন চলতে থাকে।চুমকির পরিবারের কোনও আপত্তি ছিল না সুশান্তর সঙ্গে বিয়েতে। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক। দুই পরিবার তা জানতও। টানা সাড়ে তিরিশ ঘণ্টা ধরনার পর মেলে সমাধান সূত্র।
মেমারির পাল্লারোডের মামুদপুর গ্রামের কার্তিক দাসের ছেলে সুশান্ত। আর জামালপুর থানার খরদাপলাশি গ্রামের পাঁচু মুদির মেয়ে চুমকি। কিন্তু । ছেলে আর একটু প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিয়ে দিতে চাইছিলেন না। বুধবার সুশান্তর বাড়ি চলে যান তিনি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পার্থসারথী খাঁ ও এলাকার বিশিষ্টরা চুমকি-সুশান্তর প্রেমের পরিণতি দিতে আসরে নামেন।ক্লাবের সম্পাদক সন্দীপন সরকার, দুই পরিবারের সদস্যদের তাঁরা বোঝান। তাঁদের বিয়েতে সম্মত হন দুই পরিবারের লোকজন। বিশেষ করে সুশান্তর পরিবারকে বোঝাতে একটু বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা রাজি হন। ওই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যস্থতায় দুই পরিবারই বিয়েতে সম্মতি দেয়।শেষ পর্যন্ত সহায়তায় এগিয়ে আসে স্থানীয় পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতি।
প্রেমিকা চুমকি সদ্য একটা কাজও পেয়েছেন। প্রেমিক সুশান্তর অবশ্য এখনও সেভাবে রোজগার নেই।তাই বিয়ের পথে অন্তরায় হয়েছিল প্রেমিকের আর্থিক অসচ্ছ্বলতা।তারপর চারহাত এক করা হয়েছে।শেষ পর্যন্ত কালীমন্দিরে দেবীকে সাক্ষী রেখে হয় সিঁদুরদান আর আইন মেনে রেজিস্ট্রি করে হয় বিয়ে। এদিন পাল্লারোড মধ্যবাজার কালীমন্দিরে সুশান্ত ও চুমকির বিবাহ সম্পন্ন হয়। ক্লাব প্রাঙ্গণে বিবাহের অনুষ্ঠানও করা হয। ক্লাবের তরফেই বিয়ের সব ব্যয়ভার বহন করা হয়েছে। খুশি নবদম্পতিও। চুমকির কথায়, আমার বিশ্বাস ছিল ওকে পাবই। এই ক্লাবের সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
চূড়ান্ত প্রযুক্তির যুগে আজও সমাজ মনে করে যে নারী হচ্ছে হারেমে বন্ধি এক তোতা পাখি , কিন্তু সময় বদলের হাক ডাক শুধু শহর জুড়ে তা নয়, ভাবনাতে সব নারীরাই এক পথে। “পুরুষ নারী সমান সমান অধিকার বোধে একই মান ” কখনো কখনো প্রমান পেলে আগামীর ক্ষেত্রে সুস্থ বাতায়ন তৈরি করে। নব দম্পতিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ওপিনিয়ন টাইমস এর পক্ষ থেকে।