নয়া মোড়, পঞ্চসায়র ঘটনায়। গ্রেফতার ট্যাক্সিচালক।
অভিযুক্ত একজন ধরা পড়ার পরেও ধাঁধার মুখে পুলিশ, একের পর এক উঠে আসছে নতুন তথ্য।
@ দেবশ্রী : পঞ্চসায়র ঘটনায় উঠে এল নতুন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালক উত্তম রামকে। শনিবার রাতের বেলা, নরেন্দ্রপুরের দক্ষিণ কাঠিপোঁতা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় টেক্সিচালককে। গত রবিবার, তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২২ শে নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে। তাঁর গাড়িও এখন রয়েছে পুলিশের হেফাজতে।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, প্রায় ১০০টি সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার পর, ওই গাড়িকে সনাক্ত করতে পারেন পুলিশ। তারপর শনিবার ওই টেক্সিচালককে গ্রেফতার করা হয়। জেরার মুখে নিজের দোষও স্বীকার করে সে। সে জানায় ওই ঘটনাতে সে একাই জড়িত। তার সাথে আর কেউ ছিল না। তবে অন্যদিকে নির্যাতিতা দাবি করছেন, ড্রাইভারের সাথে আরও একজন ছিল। অর্থাৎ অভিযুক্ত ২ জন। তাই পুলিশ এখন খোঁজ চালাচ্ছেন সেই দ্বিতীয় ব্যক্তির। কিংবা কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি সত্যি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আপাতত ওই অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজতে ২২ শে নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে। সেখানেই বাকি প্রশ্নের জেরা করা হবে। সেদিন কী কী ঘটেছিলো সেই সব তথ্য তার থেকে বার করবেন পুলিশ। জেরাতে ওই ট্যাক্সিচালক বলে যে, সেদিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় ছিল সে। মহিলাকে সে নিজের ট্যাক্সিতে সে তুলেছিল এবং, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় নির্যাতিতাকে ধাক্কা মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছিলো বলে স্বীকার করে উত্তম রাম।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, সিসিটিভি ফুটেজের মারফত দেখা গেছে, ওই ঘটনার রাতে, প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ পঞ্চসায়র হোম থেকে বেরিয়ে রাস্তায় হাঁটছিলেন মহিলা। তারপর একটি বাস স্ট্যান্ডের দিকে যান তিনি। সেখান থেকে তিনি পার্কে আসেন, এবং একটি গাড়িতে ওঠেন কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরই ওই গাড়ি তাকে নামিয়ে দেয়। তারপর একটি সাদা গাড়িতে ওঠেন, সেই সাদা গাড়িটি ছিল উত্তম রামের।
তবে এখন প্রশ্ন, কী হয়েছিল সেই রাতে ? নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী দুইজন মিলে তার উপরে অত্যাচার করেছে। কিন্তু ট্যাক্সিচালকের দাবি, সে একই ছিল। তদন্ত করছেন পুলিশ।