পণ চেয়ে দেরি করে বিয়ে করতে আসায় পাত্রী পাল্টাল নিজের পাত্র।
পণ নেওয়া আইনগতভাবে অপরাধ জেনেও রমরমিয়ে সম্পর্কের নাম চলছে টাকার ব্যবসা।
@ দেবশ্রী : পণ নিয়ে বাগবিতণ্ডা, তাই দেরি করে আসে পাত্র। কিন্তু দেরি করে আসার মূল্য হাড়ে হাড়ে টের পেলেন উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের ধামপুর শহরের এক যুবক তথা পাত্র। বিয়ে করতে তার পৌঁছানোর কথা ছিল দুপুরবেলা। কিন্তু তার বদলে পাত্র আসে রাতের বেলা। আর সেখানে গিয়ে দেখতে পেল এক অবাক কান্ড। তাঁর জন্য অপেক্ষা না করে কনে বিয়ে করছেন এলাকারই এক যুবককে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাসখানেক আগে একটি গণবিবাহ অনুষ্ঠানে ওই পাত্রীকে বিয়ে করেছিলেন যুবক। কিন্তু তখন শ্বশুরবাড়ি যাননি ওই পাত্রী। ঠিক হয়েছিল সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ে করার পরই শ্বশুরবাড়িতে যাবেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই পণ নিয়ে দুই বাড়ির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। পাত্র পক্ষের দাবি মেটানোর সামর্থ্য মেয়ের বাবার ছিল না। কিন্তু তবুও সামাজিক ভাবে বিয়ের সমস্ত আয়োজন করা হয়েছিল।
কিন্তু বিয়ের দিন দুপুর ২টোর সময় পাত্রের আসার কথা থাকলেও পণ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় কেটে যায় সারাটা বেলা। তার পর যখন বর এলেন, ততক্ষনে সব শেষ হয়ে যায়। পাত্রের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে পাত্রী পাড়ারই এক যুবককে বিয়ে করতে বসে পড়েছেন। এই রাত দুপুরে বিয়ে করতে এসে বরের হাত মাথায় ঠেকেছে।
তবে বিষয়টা এখানেই থেমে যায়নি। বরযাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা পৌঁছলে তাঁদেরকে নাকি ঘরে বন্দি করে রেখেছিল কনের বাড়ির লোকজন। গয়নাগাটি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও তোলে বরযাত্রীর লোকজন। এর পর খবর যায় স্থানীয় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে দু’পক্ষের সঙ্গেই আলোচনায় বসে। সেখানে দু’পক্ষের সম্মতিতেই মিটমাট করে নেওয়া হয়। এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির মিটমাট করা হয়েছে। এরপর কোনও রকম লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।
পণ নেওয়া আইনত অপরাধ। কিন্তু তাও এখনও দেশের নানান প্রান্তে ঘটছে এই অপরাধ। কিছুতেই কমছে না তা।