পাবলিক চার্জিং জায়গা থেকে ফোন বা ল্যাপটপ চার্জ করলেই উধাও হয়ে যেতেই পারে ব্যাঙ্কের সব টাকা, সতর্কবার্তা জারি এসবিআইয়ের।
হ্যাকাররা পাতছে নতুন ফাঁদছে, সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য।

@ দেবশ্রী : একটা ছোট্ট ভুল আর তার কারণেই হারিয়ে যেতে পারে সমস্ত উপার্জনের টাকা। হ্যাকাররা পেতেছে এবার নয়া ফাঁদ। এমনটাই সতর্কবার্তা জানাল ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এসবিআই। ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও পাবলিক চার্জিং জায়গা থেকে ফোন বা ল্যাপটপ চার্জ না করতে। তার কারণ দেখিয়ে বলা হয়েছে, এই ফ্রি চার্জিং স্টেশনেই কৌশল করে ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা। আর সেই ফাঁদে পা দিলেই সর্বস্বান্ত হয়ে যেতে পারেন আপনি।
কিন্তু কীভাবে পাতা হচ্ছে এই ফাঁদ? জানা গেছে, জুশ জ্যাকিং পদ্ধতিতে এই হ্যাকিং-এর কাজ চালাচ্ছে হ্যাকাররা। পাবলিক চার্জিং-এর জায়গায় ফোন বা ল্যাপটপে চার্জ দিলে চার্জিং পিনের মাধ্যমে ম্যালওয়ার মোবাইলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে হ্যাকাররা। আর তার ফলেই আপনার মোবাইলের ভিডিও, ছবি, ইমেল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতের মুঠোয়।
বেশিরভাগ মানুষ এখন অনলাইনে তাঁদের ফোনের মাধ্যমেই ব্যাংকের নানান কাজ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নানান ডিটেইলস এর তথ্যও পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। আর তার ফলে যে কোনও সময় ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট। কয়েক দিন আগেই কলকাতার যাদবপুর এলাকায় বারবার উঠেছিল এটিএম প্রতারণার অভিযোগ। চক্রান্তের রহস্যভেদ হওয়ার পর দেখা যায়, এই ঘটনার পিছনে ছিল রোমানীয়ানরা। আর এরপরেই নতুন বিপত্তি সম্পর্কে গ্রাহকদের সতর্ক করল এসবিআই।
কিন্তু এই হ্যাকারদের খপ্পর থেকে বাঁচার উপায় কী ? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোনও পাবলিক প্লেসের চার্জিং পয়েন্টে মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জ না দিতে। মোবাইলে যদি ব্যাটারি কাছাকাছি সময়ের মধ্যে ডাউন হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হবে একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনে রাখা। ফলে প্রয়োজন পড়বে না পাবলিক চার্জিং পয়েন্টের। একান্ত যদি তা না হয়, তবে অবশ্যই নিজের চার্জার দিয়ে চার্জ দিন এক্ষেত্রে আপনি কিছুটা সুরক্ষিত থাকবেন।
তবে শুধুমাত্র যে SBI গ্রাহকেরা এই বিপদে ফাঁসতে পারেন, ব্যাপারটা এমন মোটেই নয়। এসবিআইয়ের তরফে সতর্ক বার্তা দেওয়া হলেও জুশ জ্যাকিং-এর খপ্পরে পড়তে পারেন অনেকেই। তাই সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে সকলকেই।