পুজোর আগেই মিতিন মাসি তদন্ত করবে নিখোঁজ সন্তানের : বড় পর্দার টুকি টাকি!
অপেক্ষার অবসান দর্শকের সামনে প্রতিক্ষিত ছবি মিতিন মাসির অফিশিয়াল ট্রেলার পুজোর আগেই
মেয়ে ছেলে আবার গোয়েন্দা। এই ভাবনা নিয়েই আজও রয়ে গেছে বড় অংশের সমাজ ব্যবস্থা । বাইরে যতই নারী শক্তির জয় কিংবা কন্যাশ্রীর আন্তর্জাতিক তকমা সবই হারিয়ে যায় যখন মানুষ ভিতর থেকে না পরিবর্তন হয়। এই ছবিতেও পরিচালক অরিন্দম শীলের ছবিতে ফুটে উঠেছে সেই প্রশ্ন। যদিও নিছকই সিনেমা তবুও একদা বাম পন্থী অরিন্দম পালা পরিবর্তনের পর জার্সি বদল করেও ঘর রক্ষায় ব্যর্থ।বেরিয়ে পড়লো বাস্তব। মানুষের ভাবনার পরিবর্তন হয় নি যা এই সিনেমাতেও মুখোমুখি মিতিন মাসি।
বাঙালি আছে অথচ গোয়েন্দা গল্প হারিয়ে যাবে তাও হয়। প্রয়াত লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্যের মিতিন মাসি লেখা বই নিয়ে পাঠকদের মনে আগ্রহের সীমা নেই। আর সেই গল্পই এবার বড় পর্দায় উঠে আসবে।কোয়েল মল্লিককে মিতিন মাসির চরিত্রে দেখা যাবে এই ছবিতে আর এর পরিচালক অরিন্দম শীলের ।
কোয়েলের বিগত দিনের ছবিতে সাধারণত যে ভূমিকায় দেখা যায় তার থেকে এই ছবিতে অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে। মূলত গোয়েন্দার চরিত্রে আগে কখনো দেখা যায় নি , অন্য ছবিতে দেখা গেছিলো সাংবাদিকের ভূমিকায়। বেশ অনেক বছর এই বাংলা চলচিত্রে কোয়েল মল্লিক এবার যেন আরো অনেক পরিণত।
একটি অবাঙালি পরিবারের সন্তান রৌনক হটাৎই নিখোঁজ হয়েযায় , প্রাথমিক ভাবে পরিবারের খোঁজ পড়লেও পরে বোঝা যায় যে কেও বা করা তাদের এই সন্তান কে অপহরণ করেছে।আর এই নিয়ে শুরু হয় খোঁজ। পুলিশে বলা যাবে না , সমাজে জানা জানি হলে বড় নিন্দার বিষয়। তাই প্রাইভেট গোয়েন্দার দ্বারস্থ হন পরিবারের সকলে।মিতিন মাসির কাছে পৌঁছে সব বলার পর উধাও রহস্যের পর্দা খোলে। প্রজ্ঞাপারমিতা মুখোপাধ্যায় ওরফে মিতিন মাসি এই রহস্যের পর্দা ফাঁস করার ক্ষেত্রে বড় কৌশলী।
আর এই নিয়ে গোয়েন্দার কেরামতি সঙ্গে বুদ্ধির ক্ষুরধার অর্থাৎ মগজাস্ত্র দিয়ে কুপোকার করবে অপহরণকারীদের। পরিবারের চাপা উদ্বেগ , হারিয়ে যাওয়া ছেলের জন্য আবেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে সারা শহর খুঁজে বেড়ানোর মধ্যে দিয়ে রহস্য উন্মোচন করবে প্রয়াত লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্যের সৃষ্টি মিতিন মাসি ওরফে কোয়েল মল্লিক। এই ছবির সব কাস্টিং এর অধিকাংশই ছোট পর্দার সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রী , তার ফলে বেশ মুখ পরিচিতি নিয়েই হাজির হলেন মিতিন মাসি।