Culture

পুজোর রুটম্যাপ : সেরা পুজো দেখার তালিকা এক নজরে !

নাগতলা , বালিগঞ্জ , গড়িয়া , টালি গঞ্জ , বসাদ্রোণী, সন্তোষপুর ,যাদবপুর, গড়ফা , তিলজলা , কসবা ও পাটুলি

সায়ন্তনী রায় // তরুণ অভ্যুদয় : ৫৩ তম বর্ষে শিল্পী রমেশ বিশ্বাসের পরিকল্পনায় “জীব পতঙ্গ মায়ের অঙ্গ”। বাজেট ৮ লক্ষ টাকা। এই বিশ্বে কিছু কিছু জীব পতঙ্গের মধ্যে মেল বন্ধন থাকে।কিছু পতঙ্গ আবার মানুষের দিয়েও ক্ষতিকারও হয়। মা দূর্গা ও মহিষাসুরের কিছু ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে । সেরকম আমাদের একত্রিত ভাবে পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তবেই সব রোগ থেকে মুক্ত হতে পারবো।

কেন্দুয়া শান্তি সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি : ৪৬তম বর্ষে শিল্পী রঞ্জিত বিশ্বাসের পরিকল্পনায় স্মৃতি টুকু থাক। বাজেট ১৬লক্ষ টাকা। শৈশবকে কে ঘিরে আমাদের জীবনের বেড়ে ওঠা। শৈশবের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি আজও আমাদের মনে পরে। ছোটবেলাকার খেলাধুলা গুলি আমাদের স্মৃতিচরণ করে।আজকালতো আধুনিক যুগ যেটি টেকনলজিতে বন্দি। বারোয়ারি পুজোতে আমাদের ছোট বেলা খুঁজে পাই। সেই বারোয়ারি পুজোই আজ স্মৃতিচরণ করবো আমরা।

হালতু নন্দীবাগান অধিবাসী বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটি : ১৯৯৩ বর্ষে শিল্পী রাজীবের পরিকল্পনায় মায়ের “ইতিকথা”।বাজেট ২৫লক্ষ টাকা। দু এক কোথায় কোহিমার ইতিহাস বলা যাক। কোহিমা হলো নাগাল্যান্ডের রাজধানী। ৮ই এপ্রিল ১৯৮৮ ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সুভাষ বিগ্রেড আজাদ হিন্দ ফৌজ। এই কোহিমাতেই ব্রিটিশদের পরাজিত করেছিল আর কোহিমা স্বাধীন করে জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন নেতাজি।সারা বিশ্বের সমস্ত পর্যটককে চুম্বনের মতো আকর্ষণ করে। কিসিমার স্বর্গীয় শোভা ও নাগা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি দেখার পর হৃদয়ের একূল ওকুল দুকুল এক অনিবর্চনীয় আনন্দে ভেসে যায়।

নাকতলা পল্লী উন্নয়ন সমিতি : ১৯৪৯ বর্ষে শিল্পী ঔমিত্র দাস (ইচ্ছেডানা )- এর পরিকল্পনায় “স্মরণে শ্রদ্ধা”।বাজেট ১৪লক্ষ টাকা। ধুনুচির ধোঁয়ার আস্তরনে হারিয়ে যায় কখনো দুর্গাপ্রতিমা।আজ স্মৃতির সরণীতে সেইসব মানুষ। আলোকিত মননের অনেক গভীরে। ক্ষনিকের হলেও কত মুখ দাগ রেখে যায়। একদিন না দেখা হলেও কোনোদিনও তারা হারিয়ে যায়না স্মৃতি দিয়ে। পুজোতেই কিন্তু জীবন্ত হয় অতীতের পুরোনো কথা।

নিউ সন্তোষপুর আদি দুর্গোৎসব : ১৯৬১ বর্ষে শিল্পী পিকু সিংহের পরিকল্পনায় “নব আনন্দে জাগো”।বাজেট ১০লক্ষ টাকা।আমাদের পশ্চিমবঙ্গ হলো নদী মাতৃক দেশ।এখনো অনেক স্থানে যানবাহন নৌকো ব্যবহার করা হয়। নৌকা মাঝিদের অর্থের অসুবিধার জন্য তাদের অনেক ঝড়ঝাপ্টা পেরিয়ে কাজ করতে হয়।তাদের জীবনের সমস্ত আমোদ আহ্লাদ এই নৌকাতে কেটে যায়। মা দুর্গতিনাশিনী দশভূজার পূজার মাধ্যমে নতুন জীবনের আনন্দে মেতে ওঠার মুহূর্ত গুলি দেখানো হয়েছে।

যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটি :১৯৫২ বর্ষে শিল্পী বাপাই সেনের পরিকল্পনায় “স্থপত্য শেষ থেকে শুরু”। বাজেট ৩৫লক্ষ টাকা। শুধুমাত্র কানে শুনে নয়,আমরা যা চোখে দেখি ,তা বিশ্বাস করি। আর সুনিশ্চিৎ হতে আমরা ইতিহাসের পাতা উল্টে ফিরে তাকাই।দুপুর গড়িয়ে বিকেল , বিকেলে শেষে সন্ধ্যা। এসেছে রাত্রি। লুপ্তপ্রায় শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে ঔদাসীনতার অন্ধকারে। যা খোদাই করে সৃষ্টি হয়েছে অপূর্ব এক দুর্গা মন্দির ও ভাস্কর্যমন্ডিত প্রাচীর।

পোদ্দার নগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি : ৭১তম বর্ষে শিল্পী বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলি ও কানু দে -এর পরিকল্পনায় “বর্ণপরিচয়”। বাজেট ১০লক্ষ টাকা।বর্ণপরিচয় শুনলেই প্রথমে আমাদের মাথায় একজনেরই নাম আসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্দ্যাসাগর। বাংলার নবজাগরণের সময় হাল ধরে ছিলেন।শিক্ষা একটি উন্নত সমাজের মুল ভিত্তি।তাঁর সহজ ও বোধগম্য বাংলা বর্ণমালা ও ব্যাকরণ প্রবর্তন বাঙালী সমাজের কাছে আশীর্বাদ রূপে দেখা দেয়। তার শ্রেষ্ট কীর্তি ছিল নারী শিক্ষা ও বিধবা বিবাহ প্রচলন।

সন্তোষপুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব : ৭০তম বর্ষে শিল্পী অমিত চৌধুরীর পরিকল্পনায় “পুতুল বাড়ি”।বাজেট ১০লক্ষ টাকা।পুতুলবাড়ি নাম শুনলেই এক ভুতুড়ে ও রহস্য জনক স্থানের কথা মাথায় আসে। কলকাতায় ভুতের বাড়ি বলতে কিন্তু পুতুলবাড়িকেই বুঝি আমরা। এই বাড়িতে নাকি গুজব আছে এক জমিদার মহিলাদের ওপর নির্যাতন করতেন। খুন করে বাড়ির পিছনের অংশে তাদের লাশ মাটিচাপা দিয়ে দিতেন।অনেকে বাড়ির পিছনে সাদা পোশাক পড়া নারীর ছায়া দেখেছেন। ভয়ঙ্কর এই পুতুলবাড়ি নিয়ে রহস্য আজও সবার মুখে। বাংলা সাহিত্যের এই সাহিত্যের এই বাড়িটি নিয়ে সত্যজিৎ রায় ও লীলা মজুমদারের কিছু ভয়ঙ্কর গল্প আছে।

রাজডাঙা নবোদয় সংঘ: ৩১তম বর্ষে শিল্পী সাত্যকি সুরের পরিকল্পনায় “দূর্গা পূজার সেকাল একাল”। বাজেট ৫লক্ষ টাকা। প্রতিমা গড়েছেন দীপঙ্কর পাল। বাঙালির দুর্গাপুজো শ্রেষ্ট পুজো।বাঙালির দুর্গা পুজোর রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। স্বাধীনতা পূর্ব কলকাতায় বারোয়ারি পুজোর ইতিহাস একশো বছরেরও বেশী। পুজোর সাজসজ্জা সেই গুপ্তি পাড়ায় থেকে আজকের আধুনিক। গুপ্তি পাড়ার পুজো বলতে সেই হুগলির গুপ্তি পাড়ায় বারোয়ারি পুজো।

বাঁশদ্রোণী একতা : ৩তম বর্ষে শিল্পী গোপাল পালের পরিকল্পনায় “মায়ের পায়ে অঞ্জলি হোক অঙ্গদানের অঙ্গীকার”। বাজেট ৩লক্ষ টাকা।মৃত্যুর পর আপনার কিডনি ,লিভার কিংবা হৃৎপিণ্ড বা চোখ অন্যের জীবনকে সচল করতে পারে।অন্যের মধ্যে বেঁচে থাকতে পারেন মৃত কোন ব্যাক্তি। দেহের বিনাশ হয় এটা সত্য কিন্তু আত্মার বিনাশ নেই।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: