Culture

পুজোর রুটম্যাপ : সেরা পুজো দেখার তালিকা এক নজরে

জোড়াবাগান , আহিরীটোলা , নিমতলা , মানিক তালা , বিডন স্ট্রিট , কুমারটুলি , হাতি বাগান , বড়বাজার

চোরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতিঃ ৮৪ তম বর্ষে শিল্পী দেবতোষ কর এর পরিকল্পনায় সেজে উঠেছে এবারের উপস্থাপনা “দৃষ্টি থাক সৃষ্টি তে”। পৃথিবী সৃষ্টির আদি কালে অতলের গলন্ত লাভা বেরিয়ে সৃষ্টিকে দেয় এক নতুন রুপ। ঠিক যে ভাবে কোন এক শিল্পীর মনের অতলের লাভা বেরিয়ে এসে জন্ম দেয় এক নতুন শিল্প কর্মের এবং মানুষের মনের অতলের লাভা বেরিয়ে এসে সৃষ্টি করে সভ্যতার।প্রতিদিনের এই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় সৃষ্টি তার রূপ বদলায়, রঙ বদলায়। সব অশুভ সৃষ্টির বিনাশ হোক ও সৃষ্টি থাক শুভ দৃষ্টি তে,এই ভাবনা নিয়ে সেজে উঠবে এবারের পূজা প্রাঙ্গন। আকর্ষণীয় ভাবে সেজে উঠতে চলেছে এবারের পরিকল্পনা।

কৈলাশ বোস স্ট্রীট সার্বজনীন দুর্গোৎসব : ৫৩ তম বর্ষে শিল্পী সায়ক রাজ এর পরিকল্পনায় এবারের উপস্থাপনা পুলিশ। পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রম ,আত্মত্যাগ ,নিষ্ঠা ,সব কিছু আবৃত থাকে ওই ইউনিফর্মে। ভালো বা খারাপ ,সব কিছুতেই আছে,সবাই যখন পূজোর আনন্দে মেতে ওঠে তখন তারা দায়িত্ব পালন এ ব্যস্ত। পথচলতি মানুষ এর আনন্দ দেখে ,তারা তাদের পরিবারের কথা মনে করেন।অসংখ্য হাসি মুখের ভিড় দেখেই তাদের তৃপ্তি।তাই এবছরের নায়ক ওনারাই। আপনারা এই মণ্ডপে এলে দেখতে পাবেন তাদের জীবনকথা।গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে এক অন্য থিম তুলে ধরছে এই বছর। এগিয়ে আসছে সময় আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন পেরোলেই মহালয়া , শুরু হবে যুব কল্যাণ শারদ সম্মান ২০১৯ এর প্রতিযোগিতা।

মাধব দাস লেন সার্বজনীন দুর্গোৎসব : ৪৯তম বর্ষে শিল্পী মনোজিৎ সরকার এর পরিকল্পনায় “ডাকে এলো মা ” মূলত ডাক ব্যবস্থা উপর কেন্দ্র করে এই ভাবনা।আজকে আমরা অনেক উন্নত,কিন্তু এই উন্নতির পিছনে ইতিহাসের অনেক বড়ো অবদান আছে। প্রাচীন যুগে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল “ডাক হরকরা”। ডাক ব্যবস্থা ছিল যোগাযোগ এর একটি মূল স্তম্ভ, যাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে আধুনিক যোগাযোগ এর ব্যবস্থা। এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করা হয়। তাই “ডাক হরকরা থেকে আধুনিকরন ” এর ভাবনা মধ্যে ভালোলাগা স্মৃতি খুঁজে পেতে পারেন। এই সব নিয়ে নজরে থাকবে মাধব দাস লেন এবছরে।

বিধান সরণি এটলাস ক্লাব : ৩৭ তম বর্ষে শিল্পী পবিত্র দাস এর পরিকল্পনায় ” পুরুষ ও প্রকৃতির মাঝে জন্ম নিক নতুন সত্তা” এবারের ভাবনা। মা আসছেন,সঙ্গে আনছেন সুখ ও সমৃদ্ধি। পুরুষ ও প্রকৃতি ছাড়া অর্থহীন এই সৃষ্টি। এক সদ্য ফোটা কুড়ি যেমন আস্তে আস্তে সুন্দর ফুল হয়ে উঠে প্রকৃতির সাথে মিশে যায় ,একই ভাবে দেবী এখানে নিত্য অঙ্গবিন্যাস রূপে প্রকৃতি হয়ে বিরাজমান। প্রকৃতির প্রত্যেকটি সৌন্দর্য যে প্রাণ সঞ্চার করে তা বোঝানোর জন্য বেশ কিছু অভিনব আধুনিক প্রতিস্ঠাপন এর মাধ্যমে দর্শকের মধ্যে এক নতুন সত্বার উন্মোচন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।তাছাড়াও প্রতিমাতেও অভিনবত্ব থাকছে। পরিকল্পনা বাস্তবে কিভাবে রূপায়ণ হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু।

নলিন সরকার স্ট্রীট সর্বজনীন দুর্গোৎসব : ৮৭ তম বর্ষে শিল্পী মানস দাস এর পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠছে এবারের উপস্থাপনা “কর্মই ধর্ম ” হোক জীবনের পরিচয় । বহু সময় ধরে মানুষ কর্ম ভুলে ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে ,ধ্বংসের পথ বেছে নিচ্ছে নিজ নিজ জ্ঞানে।কার্যের মধ্যে ধর্ম আছে। মানব সংসারে ধর্ম-কর্মের যুদ্ধ বিরতি দিয়ে সঠিক পথ দেখতে দেবী মা দুর্গার মর্তে আগমন ঘটেছে।সাধনা কক্ষের এই আধ্যাত্বিক ভাবকেই নান্দনিক আঙ্গিক এর মাধ্যমেই তুলে ধরা হচ্ছে। এইভাবনা নতুন করে চর্চার জায়গা তৈরি করবে।সেই সময় এইভাবনা নতুন করে চর্চার জায়গা তৈরি করবে।সেই সময় এইভাবনা নতুন করে চর্চার জায়গা তৈরি করবে।বলাবাহুল্য এবারের উপস্থাপনা অন্য বারের থেকে একদম ।

আহিরীটোলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব : ৪৯ তম বর্ষে শিল্পী পরিমল পাল পরিকল্পনা ও রূপায়ণে এবারের উপস্থাপনা “ধূসর ধরণী “।মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশ ও উন্নততর জীবনযাত্রার তাগিদে কখন যে মানুষ পৃথিবীর জল-মাটি-বাতাস কে বিষিয়ে দিয়েছে তা উপলব্ধি করার সময় বা ভাবনা কোনোটাই ছিলোনা। আজ চারিদিকে শুধু বিষ আর বিষ আসুরিক শক্তি ধারণ করে পৃথিবীকে ধ্বংসের পথে নিয়ে চলেছে।এইভাবনা নতুন করে চর্চার জায়গা তৈরি করবে। ধূসর পৃথিবীর মলিনমোচনে মানুষের চিন্তা ভাবনা ও আচার-আচরণের বিকাশই সেই মহাশক্তির জাগতিক রূপ। ফলে ভাবনার বিন্যাস ও তার অবয়ব সঠিক হয় তাহলে এই উদ্যোগ নান্দনিক উৎকর্ষের চূড়ান্ত জায়গায় অবস্থান করবেই। অপেক্ষার হাতে গোনা কয়েক দিন।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button
%d bloggers like this: