পুজোর রুটম্যাপ : সেরা পুজো দেখার তালিকা এক নজরে
দম দম পার্ক , সল্ট লেক পাতিপুকুর লেক টাউন টালা কালিন্দী ফুলবাগান বাঙ্গুর , এন্টালি ,বেলেঘাটা, উল্টোডাঙা
লেক টাউন প্রগতিপল্লি অধিবাসীবৃন্দ অর্গানাইসেশন : ১৯তম বর্ষে পা দিল লেক টাউন প্রগতিপল্লি অধিবাসীবৃন্দ অর্গানাইসেশন। ১৯তম বর্ষে পা দিল লেক টাউন প্রগতিপল্লি অধিবাসীবৃন্দ অর্গানাইজেশন। সামাজিক ভয়াবহ জলের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বছরের মূল ভাবনা। শিল্পী অশোক দত্ত পুরো পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন। পৃথিবীতে তিনভাগ জল থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে আমরা পানীয় জলের সংকটের সম্মুখীন। সমাজের এই জল অপচয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে “জল বাঁচাও” বাণী প্রচার করতেই এই পরিকল্পনা। তাঁরা এই বছর দেবী জলদার পূজো করবেন। দেবী জলদা হল সেই দূর্গা জিনি জলপ্রদানকারিনীও। তার কাছেই দর্শকগণ প্রার্থণা করবেন। মন্ডপের একটি অংশে দেবী মনুষ্য জগতে জলের বিন্দু প্রবাহিত করবেন। পূজো কমিটির সদস্যদের ধারণা, মানুষ কোনো দোষ করলে তা ভগবানকে জানান। ঠিক সেই রকমভাবে অনেক মানুষের জীবন থেকে জল কেড়ে নেওয়াও অপরাধ। যার স্বীকারোক্তি দর্শক মায়ের কাছে জানাবেন। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
ধরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি : ৭৩ তম বর্ষে পা দিল ধরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। অস্কার জয়ী চিত্রশিল্পী সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ” গুপি গাইন বাঘা বাইন ” চলচ্চিত্রের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তাদের এই বছরের নিবেদন ” দেখরে নয়ন মেলে “. মন্ডপ ও প্রতিমা নির্মাণ করেছেন ভাস্কর শিল্পী শ্রী দীপ্তরেখ ভড়. ” সুন্ডির রাজ্ প্রাসাদের ” আদলে মূল মন্ডপটি তৈরী হয়েছে। মাতৃ প্রতিমার আদলে সনাতনী ভাব বজায় রেখেছেন। মন্ডপের পাশের দেওয়ালে চলচ্চিত্রের সেটের বিভিন্ন দৃশ্য এবং সত্যজিৎ রায়ের আসল লিপির নিদর্শন দেখানো হবে. মন্ডপের সামনের ১০ ফুট উচ্চতার গুপি ও বাঘার ফাইবার মডেলটি বিশেষভাবে দর্শককে আকর্ষিত করবে। এছাড়াও মূল প্রবেশ পথটি হবে ভূতের রাজার বাঁশঝাড়ের আদলে। প্রবেশ পথের উপরের দিকে থাকবে মিষ্টির হাঁড়ি, হাঁড়িগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে আকাশ থেকে পড়েছিল। এটাও দর্শকের সামনে তুলে ধরা হবে. শিল্পী সুরজিৎ বিশ্বাসের অধীনে এই সব অংশটি পরিকল্পিত হয়েছে। বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।
দমদম তরুণদল : ৪২ তম বর্ষে পা দিল দমদম তরুণদল। শিল্পী অনির্বাণ দাসের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” দেবীপক্ষ, তুমি দেখ নারী পুরুষ আমি দেখি শুরুই মানুষ… ” নারী পুরুষ বাদেও আমাদের সমাজে আরও এক জাতি বসবাস করে. মহাভারতে যাদের উল্লেখ থাকলেও বাস্তব জীবনের তাদের কথা সচরাচর মুখে আনতে চায়না। তারা হল রূপান্তরিত লিঙ্গের মানুষ। পাতি বাংলা ভাষায় যাদের আমরা হিজড়া বলে সম্মধন করে থাকি। এই সব মানুষদের দুঃখের গল্পই তুলে ধরেছেন দমদম তরুণদলের শিল্পীরা। মন্ডপ সৃজনের দায়িত্বে আছেন শিল্পী অনির্বাণ দাস. প্রতিমা নির্মাণ করেছেন সনাতন দিন্দা। আলোক পরিকল্পনা করেছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী আবহে শতদল চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবারের মতো এই বারের উপস্থাপনাও অন্যরকম চিন্তাধারা আনবে দর্শকের মনে। তাদের পরিকল্পনাটি ঠিক কতটা বাস্তবে রূপায়ণ করতে পেরেছেন সেটাই দেখার।
টালপার্ক প্রত্যয় : ৯৪ তম বর্ষে এক নতুন চমক নিয়ে হাজির টালপার্ক প্রত্যয়। শিল্পী সুশান্ত পালের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সেজে উঠেছে এই বছরের উপস্থাপনা ” কল্পলোক “. আমাদের চারপাশে রোজ নানা চরিত্রের মানুষ চলাফেরা করেন। তাদের চেনা মুখ যখন অচেনা হয়ে যায় তখন সৃষ্টি হয় ঈশরের। সূচনা হয় আকার থেকে নিরাকারের। এই কল্প কথাই তুলে ধরেছেন শিল্পী সুশান্ত পাল. বলাবাহুল্য এই বারের পরিকল্পনাও একদম আলাদা। তার কতটা বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন তাই দেখার।